প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অল্প সময়ে, অল্প খরচে ভোগান্তিমুক্ত বিচার প্রাপ্তি মানুষের অধিকার। যদি দ্রুত সময়ে, অল্প খরচে বিচারকাজ শেষ করতে পারেন তাহলে বিচার বিভাগের ওপরই মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বাড়বে। যদিও আমাদের আস্থা-বিশ্বাস আছে, তারপরও আমি বলব এ বিষয়ে সবাইকে একটু বিশেষ নজর দিতে।’
বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকায় নবনির্মিত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এত মামলা যেন এভাবে জমে না থাকে। কীভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন করা যায় সে ব্যাপারে একটু আন্তরিক হবেন এবং ব্যবস্থা নেবেন। এজন্য যদি কোনো রকম সহযোগিতা প্রয়োজন হয়, সেটা আমরা সরকারের পক্ষ থেকে করব। এতগুলো মামলা এভাবে পড়ে থাকুক সেটা আমরা চাই না।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা যেহেতু আইন সভার সদস্য, সেখানে আইন প্রণয়ন বা আইন সংস্কার বা যেখানে যা করা দরকার সেগুলো সব আমরা করতে প্রস্তুত। সরকার হিসেবে আমাদের যা দায়িত্ব সে দায়িত্বও আমরা সবসময় পালন করতে প্রস্তুত।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যেন ন্যায়বিচার পায়, দেশের মানুষ ভালো থাকে, স্বস্তিতে থাকে, শান্তিতে থাকে, নিরাপদে থাকে, উন্নত জীবন পায় সেজন্য আমরা কাজ করে যাবো।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের হত্যার পর ওই ঘটনায় বিচার চাইতে পারেননি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি, আমার ছোট বোন রেহানা। আমাদের কিন্তু বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না। বিচার চাইতে পারি নাই। রেহানার পাসপোর্ট দেয়নি। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ। সেটা রিনিউ করে দেয়নি। আমাদের কিন্তু বিচারের বাণী নিভৃতে কেঁদেছে। বিচার চাইতে পারিনি।
