শ্রীপুরে আ.লীগ নেতার স্ত্রীকে মেরে শ্লীলতাহানি করেছে বিএনপি কর্মীরা
Advertisements

জমিতে ছাগল গিয়ে ফসল নষ্ট করায় বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে তুমুল মারামারি। এতে আহত হন শ্রীপুর পৌর ৭ নং ওয়ার্ড (কেওয়া চন্নাপাড়া) আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন আহম্মেদের স্ত্রী নাজমীন বেগম। এসময় তাকে মেরে গুরুতর আহতে করার পাশাপাশি ব্যাপকভাবে শ্লীলতাহানি করেছে একই গ্রামের কয়েকজন বিএনপি কর্মীরা।

এ ঘটনায় শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্বপন আহমেদ। এতে অভিযুক্তরা হলেন, একই গ্রামের গ্রামের শহিদুল্লাহ ও তার দুই সন্তান (৬০) সন্তান ছলিম উল্লাহ (৩০), আল আমিন (২৭) ও শহিদুল্লাহর ভাই আতাউল্লাহ (৫৫)।

অভিযোগকারী স্বপন আহমেদ জানান, গত বুধবার তাদের জমির ফসল নষ্ট করে। পরে তারা বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে। পরে আমার স্ত্রী এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে গুরুতর আহত করে। আমার স্ত্রীকে তলপেটে অনেকগুলো লাথি মারে। পরে তাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তাকে শ্লীলতাহানিও করেছে তারা। বর্তমানে সে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। তার অবস্থা খুব একটা ভালো নেই। ঘটনার সময়ের মারধরের ভিডিও করে রেখেছিল একজন। ভিডিও দেখে দেখে এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

স্থানীয়রা বলছেন, এমন মারধরের দৃশ্য দেখে কয়েকজন থামাতে গিয়েছিল। পরে তাদেরকেও মেরেছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন বিএনপির কর্মী। তাদের কোনো দলীয় পদ নেই। তবে তারা বিভিন্ন প্রভাব দেখিয়ে গায়ের জোরে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত। স্থানীয়রা অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

এসব বিষয়ে অভিযুক্ত আতাউল্লাহ বলেন, ওই নারীকে কেউ মারেনি, এমনিতেই ধাক্কাধাক্কিতে ও হুড়োহুড়ি হয়েছে। এ ঘটনাটি স্থানীয় কাউন্সিলর বসে মীমাংসা করে দেবেন।

শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিয়ে বসে মীমাংসাচেষ্টা করবো’।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।

Advertisements