শ্রীপুরে বরমী বাজার বনিক সমিতির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
Advertisements

গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার ‘বরমী বাজার বনিক সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলামসহ দুইজনের বিরুদ্ধে ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত ষড়যন্ত্রমূলকভাবে একটি ভিত্তিহীন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন হারুনুর রশীদ বাদল ওরফে বাঘ বাদল।

গাজীপুর জেলা প্রশাসক বরাবরে দেওয়া ওই অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত দুইজন বরমী বাজার বনিক সমিতিতে অবৈধভাবে অবৈধ দায়িত্বে রয়েছেন। সমিতির কোনও লাইসেন্স নেই। সেইসাথে প্রতি সপ্তাহে প্রায় দুই লাখ টাকা ব্যবসায়ীদের থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করছেন।

অনুসন্ধান সূত্রে জানা যায়, দেশের প্রায় অনেক বাজারেরই লাইসেন্স নেই। লাইসেন্স না থাকলেও সমিতির নিজস্ব নিয়মনীতির মধ্য দিয়েই দায়িত্বশীল নির্বাচিত হয়ে থাকে। বরমী বাজার বনিক সমিতিও তদ্রূপ।

এ ব্যাপারে বরমী বাজার বনিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হাসেম জানান, এই সমিতি ১৯৬২ সালে গঠিত হয়ে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রেখে এখন পর্যন্ত সুনাম অক্ষুন্ন রেখেছে।

আমাদের সমিতিতে মোট ৮৫২ জন সদস্য রয়েছে। সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পর্যন্ত উত্তোলন করা হয়। ১০০ টাকা করে দিচ্ছেন এমন সংখ্যা সর্বোচ্চ ৫ জন। এর মধ্যে একজন দিচ্ছেন ৩০০ টাকা।প্রকৃতপক্ষে সপ্তাহে দুই লাখ নয়, সর্বোচ্চ ১৭-১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত উত্তোলন করা হয়।

এই টাকার একটি টাকাও সাধারণ সম্পাদকের পকেটে যায়না। প্রকৃতপক্ষে এই টাকা যারা রাতে বাজার পাহাড়া দিচ্ছে, তাদেরকে দিয়েই শেষ হয়ে যায়। এই বাজারটিতে মোট নয়জন পাহাড়াদার রয়েছে। অভিযোগকারী একজন বালু ব্যবসায়ী এবং সেক্রেটারি জহিরুল ইসলামও একই ব্যবসা করেন। ব্যবসায়ীক প্রতিহিংসা বশত এরকম সাজানো অভিযোগ দিয়ে থাকতে পারে। হারুনুর রশীদ বাদল ওরফে বাঘ বাদল সমিতির সেক্রেটারিসহ দুইজনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, সাজানো ও ভিত্তিহীন। আমি এই ভিত্তিহীন অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে অভিযোগকারী হারুনুর রশীদ বাদল ওরফে বাঘ বাদল জানান, আমি অভিযোগে প্রায় দুই লাখ টাকা লিখেছি। টাকার অংক যা-ই হোক, নিবন্ধন ছাড়া টাকা উঠানো মানেই চাঁদাবাজি। আমার দেওয়া অভিযোগ তদন্তের জন্য ডিসি মহোদয় এডিএম স্যারকে দায়িত্ব দিয়েছেন। অভিযোগটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।

এ ব্যাপারে বনিক সমিতির সেক্রেটারি জহিরুল জানান, আমি সামনে নির্বাচন করবো৷ আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্য এমন সাজানো অভিযোগ করে থাকতে পারে।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মামুন সরদার জানান, অভিযোগটি এখনও হাতে পাইনি, দেখে জানাবো।

Advertisements