লকডাউনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষ
Advertisements

চলমান লকডাউনের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষ। লকডাউনে নিম্ন আয়ের মানুষ চরম দুর্দিনে পার করছে তাদের জীবন। এমই একটা চিত্র উঠে এসেছে সমকালের প্রতিবেদনে। তারা কিছু নিম্ন আয়ের মানুষের সাথে কথা বলে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন। সমকালের এই প্রতিবেদনটি পড়লেই বুঝা যাবে নিম্ন আয়ের মানুষ কত দুর্দিনে আছে।

রাজধানীতে ১৮ বছর ধরে রিকশা চালান দ্বীপজেলা ভোলার শামসুল আলম। কিন্তু এত বেকায়দায় আগে কখনও পড়েননি। সংসারের খাওয়া-পরা, দুই ছেলে ও এক মেয়ের লেখাপড়ার খরচ- সবই জোটে তার রিকশা চালিয়ে। তবে লকডাউন ঘোষণার পর তার আয় পাঁচ ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে। হিমশিম খেতে হচ্ছে তার দিন চালাতে। রাজধানীর সব নিম্ন আয়ের মানুষের এখন এমন অবস্থা। বড় দুর্দিন এখন তাদের।

শামসুল আলম গতকাল সমকালকে বলেন, ছয় দিন ধরে ২০০ টাকার বেশি আয় করতে পারছেন না। অথচ আর সব রমজানে আধাবেলা রিকশা চালালেই ৭০০ টাকা আয় করা যেত। কারণ রমজান মাসে মানুষজন হাঁটাহাঁটি কম করে। তাই রিকশার যাত্রী বেড়ে যায়। এবার যাত্রীই পাওয়া দুস্কর। সংসারের খরচই তুলতে পারছেন না তিনি।

একই অবস্থা পান-সিগারেট বিক্রেতা আল আমিনের। রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় ঘুরে ঘুরে বেচাকেনা করেন তিনি। আগে বেচাকেনার পর গড়ে দৈনিক আয় হতো ৫০০ টাকা। গত কয়েক দিনের লকডাউনে বেচাকেনাই হচ্ছে ৫০০ টাকা, আয় হচ্ছে দৈনিক সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। এ দিয়ে দিনের থাকা-খাওয়ার খরচই হচ্ছে না। গতকাল আল আমিন বলেন, মানুষজন বাইরে বের হন কম। যারা বের হন, তাদের অনেকেই রোজাদার। তাই বেচাকেনা একদম কমে গেছে। চায়ের দোকানদার বাবুলও জানালেন, বেচাকেনা নেই।

রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মার পাশে বসে ভিক্ষা করেন ফরিদপুরের কাউলিকান্দার প্রতিবন্ধী এসকেন সরদার। তিনি জানালেন, রমজান মাসে মানুষ বেশি দান করায় আয়ও হতো বেশি। কিন্তু এবার প্রথম রমজান থেকেই লকডাউন। মানুষজন নেই রাস্তায়। তাই ভিক্ষাও পাচ্ছেন না। ইফতারের আগে কেউ কেউ খাবার-দাবার দেয়, তা দিয়েই দিন পার করতে হচ্ছে তাকে।

শামসুল আলম, আল আমিন, বাবুল, এসকেনের মতোই দুরবস্থা দৈনিক আয়ের ওপর নির্ভরশীল অন্যান্য মানুষেরও। লকডাউনে অনানুষ্ঠানিক খাতের দৈনিক আয়ের ওপর নির্ভরশীল মানুষের আয় কমেছে। কারও কারও আয় বন্ধ হয়ে গেছে। অনেককে প্রয়োজনীয় খাবারের জন্য ঋণ করতে হচ্ছে অথবা আত্মীয়-পরিজনের সহায়তা নিতে হচ্ছে। অনেকে সামাজিক সহায়তার জন্যও হাত বাড়াচ্ছেন। তবে সবাই ঋণ বা সহায়তা পাচ্ছেন না। গতবছর সাধারণ ছুটির সময় বিত্তবান ব্যক্তি, বিভিন্ন কোম্পানি ও সংস্থা সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এলেও এবার তেমন দেখা যাচ্ছে না।

করোনার প্রথম ঢেউয়ের প্রভাব কাটতে না কাটতেই শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ঢেউ। গত বছরের ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটির ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই এখনও বিপর্যস্ত অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। ওই সময় দেশে দারিদ্র্যের হার দ্বিগুণ হয়েছিল। নিম্ন আয়ের মানুষ যখন সেই ধাক্কা সামলে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, তখনই শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব সামাল দিতে গত ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। এর পরও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় গত ১৪ এপ্রিল থেকে সার্বিক কার্যাবলি ও চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। যাকে বলা হচ্ছে সর্বাত্মক লকডাউন। এতে জরুরি পণ্য ও সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত কার্যক্রমের বাইরে সবকিছু বন্ধ রাখা হয়েছে। এই লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হবে বলে আভাস দিচ্ছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা। এতে দৈনিক আয়ের ওপর নির্ভরশীল মানুষের টিকে থাকার সংগ্রাম আরও কঠিন হতে যাচ্ছে। এ অবস্থায় অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে দুর্ভাবনায় পড়েছেন নতুন করে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এ ধরনের লকডাউনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন দিনমজুর, শ্রমিক ও নিম্নবিত্ত জনগণ। বিশেষ করে যারা শহর ও শহরের উপকণ্ঠে থাকেন। এ পরিস্থিতিতে অনানুষ্ঠানিক খাতের লোকজন রিকশাচালক, পরিবহনকর্মী, হকার, দিনমজুর, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, কামার, কুমোর, জেলে, দর্জি, বিভিন্ন ধরনের মিস্ত্রি, নির্মাণ শ্রমিকসহ দৈনন্দিন আয়ের ওপর নির্ভরশীল মানুষ কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন না। কাজ থেকে দূরে থাকতে হচ্ছে ভ্যানচালক, ঠেলাগাড়িচালক, রংমিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রি, তালা-চাবির মিস্ত্রি, সাইকেল-ভ্যান, রিকশা ও মোটর গ্যারেজের কর্মীদেরও। মোবাইল রিচার্জের ব্যবসায়ী, ফুল বিক্রেতা, দোকানের কর্মচারী, ফুটপাতের ব্যবসায়ীরাও আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মিষ্টির দোকান ও বেকারি বন্ধ থাকায় গ্রামে দুধ ব্যবসায়ীরা দুধ কিনছেন না। এতে যারা গাভি পালন করেন, তারা ও ব্যবসায়ী উভয়েই সমস্যায় পড়েছেন। মুদ্রণ ও প্রকাশনা খাতের কর্মীরা বেকার বসে আছেন আগে থেকেই। শহরের বস্তিবাসী- যারা বাসাবাড়ি, নির্মাণ খাতসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে দিনমজুরের কাজ করেন, হকারি করেন এবং রাস্তার পাশে অস্থায়ী দোকান করেন- তারাও বেকার এখন। সামগ্রিকভাবে কৃষি, শিল্প ও সেবা সব খাতেই নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর লকডাউনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। আয় হারিয়ে কর্মহীন বসে থাকার ফলে এ ধরনের মানুষের খাদ্য সংকট ছাড়াও স্বাস্থ্য ও মানসিক পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতিরও আশঙ্কা রয়েছে।

এমন প্রেক্ষাপটে অর্থনীতিবিদরা লকডাউনের সময় দরিদ্রদের খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলছেন, শহরের দরিদ্রদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে বিত্তবানদের সহায়তা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। লকডাউন-পরবর্তী সময়ে এ ধরনের লোকেরা যাতে সহজেই আয় করতে পারে, এমন পরিবেশ সৃষ্টি করার কথা বলছেন তারা।

এরই মধ্যে কয়েকজন মন্ত্রী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সরকার লকডাউনে দরিদ্র মানুষের সহায়তায় বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তবে কবে কখন কীভাবে এসব সহায়তা দেওয়া হবে, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত ঘোষণা আসেনি সরকারের পক্ষ থেকে। মন্ত্রীদের ভাষ্য অনুযায়ী, সোয়া কোটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, এক কেজি করে ডাল, তেল, লবণ ও চার কেজি আলু দেওয়া হবে। ৩৬ লাখ পরিবারকে নগদ আড়াই হাজার টাকা করে দেবে সরকার। এক লাখ কৃষককে পাঁচ হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া বাড়ানো হয়েছে খোলা বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি। চালু করা হচ্ছে বিশেষ ওএমএস। দেশব্যাপী ৭৫ হাজার টন চাল ১০ টাকা দরে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর। টিসিবির মাধ্যমেও বিক্রি বাড়ানো হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের কর্মসূচি দ্রুত পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। তবে সরকারের এ কার্যক্রম পর্যাপ্ত নয়। কারণ, সরকারের সহযোগিতা পাচ্ছে কিছু মানুষ, যারা আগে থেকেই বিভিন্নভাবে সরকারের কাছে দরিদ্র ও দুস্থ হিসেবে নিবন্ধিত। কিন্তু যাদের সংকটাপন্ন পরিস্থিতির তথ্য সরকারের কাছে নেই, তাদের সহায়তা পাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। গত বছরের সাধারণ ছুটির সময় দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠী বেড়েছে। তাদের কারও কারও অবস্থার উন্নতি ঘটলেও নতুন করে লকডাউনের ফলে অনেকেই ফের দরিদ্রের তালিকায় ফিরে গেছেন। এ ধরনের মানুষের জন্য সরকারের সহায়তা আরও বাড়ানো দরকার, বিশেষ করে তাদের নগদ টাকা দেওয়া দরকার।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) এক জরিপ অনুযায়ী, গত বছরের লকডাউনে দরিদ্রের হার বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ শতাংশে। বিআইডিএসের গত বছরের এক জরিপেও দেখা গেছে, এ সময় দেশে এক কোটি ৬৪ লাখ মানুষ নতুন করে গরিব হয়েছে। সিপিডির জরিপমতে, ওই সময় দারিদ্র্য বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫ শতাংশে। পিপিআরসি ও বিআইজিডি বলেছে, দারিদ্র্যের হার ৪৩ শতাংশে উন্নীত হয়। ব্র্যাকের এক জরিপে দেখা গেছে, গত বছরের সাধারণ ছুটির সময়ে নিম্ন আয়ের অনেকেরই আয় বন্ধ ছিল। আর সাধারণ ছুটির পর তাদের আয় ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।

সানেমের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সেলিম রায়হান বলেন, কিছু শিল্পকারখানা ছাড়া এখন সবই বন্ধ। ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সংকুচিত হয়েছে, অনানুষ্ঠানিক খাতের লোকদের আয়-রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। কাজ হারানো মানুষের সংখ্যা শহরেই বেশি। নতুন করে অনেক মানুষ দরিদ্র হয়েছে। সরকারকে এসব বিষয় মাথায় নিয়ে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বাড়াতে হবে। এলাকাভিত্তিক অ্যাসেসমেন্ট করে সহায়তা করা যেতে পারে।

গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, লকডাউনে নিঃসন্দেহে দৈনিক আয়ের ওপর নির্ভরশীল লোকেরা সমস্যায় পড়বে। দারিদ্র্য বাড়বে। এ সময় অবশ্যই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য নগদ অর্থ দিয়ে সহায়তা করা যেতে পারে। তবে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে হবে। লকডাউনের পর তাদের আয় সহায়তা দিতে হবে। এজন্য শ্রমঘন সরকারি কার্যক্রম বাড়াতে হবে। বেসরকারি বিনিয়োগ যাতে উৎসাহিত হয় এমন উদ্যোগ নিতে হবে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট জাহিদ হোসেন বলেন, অবশ্যই লকডাউনে দরিদ্রদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নতুবা মানুষ খাদ্যের প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়ে আসবে। লকডাউনের ফল পাওয়া যাবে না। এজন্য সঠিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও দুস্থদের তালিকা করে নগদ টাকা দিতে হবে। একইসঙ্গে লকডাউন-পরবর্তী সময়ে তাদের অনুদান হিসেবে পুঁজি দিতে হবে।

বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইতোমধ্যে করোনার প্রভাবে দরিদ্র মানুষ খাদ্যবহির্ভূত ব্যয় কমিয়ে দিয়েছে। অনেকে সঞ্চয় ভেঙে খেয়েছেন, ঋণ নিয়েছেন এবং খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনেছেন। আবার অনেকে পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর পথই খুঁজে পাননি। ফলে অনেকেরই দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে আসার শংকা তৈরি হয়েছে।

বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাটের রবিউল ইসলাম ঢাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালান। গত বছর থেকে এ পর্যন্ত তিনি কয়েকবারই পেশা ছেড়ে গ্রামে ফিরে গেছেন। সেখানে কোনো কাজের সুযোগ না হওয়ায় আবারও ফিরে এসেছেন ঢাকায়। এবার লকডাউনেও তিনি বাড়ি ফিরে গেছেন। রবিউল বলেন, অ্যাপসভিত্তিক পরিবহনের কারণে অটোরিকশায় আয় কমে গেছে। গত বছর করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে মানুষ গণপরিবহন এড়িয়ে চলছেন। সাধারণ ছুটির সময়ও সব বন্ধ ছিল। এতে তাদের আয় কমেছে, অনেককে ঋণ করতে হয়েছে, সঞ্চয়ে টান পড়েছে। এখন আবারও লকডাউন দেওয়া হয়েছে। ফলে আয়ের বিকল্প উৎস খুঁজতে হবে। এজন্য তিনি বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।

এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের এক সাম্প্রতিক জরিপে বলা হয়েছে, গত বছরের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারই আর্থিক সংকটে পড়ে। এক বছর পর এর মধ্যে ৭৮ দশমিক ৫ শতাংশ এখনও এ সংকট থেকে বের হতে পারেনি। আয়ের সঙ্গে ব্যয় সমন্বয় করতে খাদ্য গ্রহণে আপস করে চলছে এসব মানুষের জীবন। প্রতিদিনকার প্রয়োজনীয় ব্যয় মেটাতে অনেকে ঋণ করে চলছেন। অনেকের ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। দশ ধরনের পেশার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর পরিচালিত এক জরিপে এমন ফলাফল পেয়েছে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম।

এক হাজার ৬০০ পরিবারের ওপর পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, গত বছরের মার্চের তুলনায় গেল ফেব্রুয়ারিতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আয় কমেছে ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ। এ সময় তাদের ব্যয় কমেছে ৮ দশমিক ১ শতাংশ। সমীক্ষার আওতায় থাকা প্রায় ৬০ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারকে ঋণ নিতে হয়েছিল। এ ঋণ পরিশোধে তাদের আরও অন্তত দুই বছর সময় লাগতে পারে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী, প্রতিবন্ধী, বস্তিবাসী ও চরের মানুষজনের ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি।

Advertisements