এক সন্তানের জননী গৃহবধূকে ধর্ষণের সময় ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করে পূণরায় ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আপন দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। দীর্ঘ দিন ধরে ওই গৃহবধূকে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে তারা।
বুধবার এসব বিষয় প্রসঙ্গে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন শ্রীপুর থানা পুলিশ। নির্যাতিতা ওই নারী গত রোববার (৮ অক্টোবর ) শ্রীপুর থানায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হল উপজেলার গাড়ারণ গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে ফিরোজ মিয়া(৩৫) ও তার আপন ছোট ভাই হযরত আলী(৩০)। এর আগে (৫ অক্টোবর) রাতে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করতে আসে হযরত আলী। পরে ভুক্তভোগী ওই নারীর ডাক চিৎকারে জনতার হাতে ধরা পড়ে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নির্যাতিতা সেই নারীর স্বামী একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তাই অনেক সময় রাতে ডিউটি থাকে। ওই নারী বাড়িতে একা থাকার কারণে ফিরোজ মিয়া প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করত। গত (৮ সেপ্টেম্বর) স্বামী বাড়িতে না থাকায় প্রতিবেশী ফিরোজ বাড়ির পাশে বসে থাকে। রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাহিরে গেলে ওত পেতে থাকা লম্পট ফিরোজ মিয়া ওই নারীকে জাপটে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সে সময় ধর্ষণের ভিডিও করে রাখেন ফিরোজ মিয়া। পরে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
এর আগে গত (৫ অক্টোবর) রাতে একই কৌশলে ধর্ষণের চেষ্টা করে আরেক ভাই হযরত আলী। পরে ওই নারীর ডাক চিৎকারে জনতার হাতে ধরা পড়ে সে। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়। নির্যাতিতা ওই নারীর মা বলেন, এখন এই বিষয়টি আমার মেয়ের জামাইসহ সবাই জেনে গেছে। এখন আমার মেয়ের সাথে সংসার করবে না বলে জানিয়ে তার স্বামী। আমাদের বাড়িতে মেয়েকে পাঠিয়ে দিয়েছে । ফিরোজ ও তার ভাই হযরত আলীর কারণে আমার মেয়ের সংসার নষ্ট হয়েছে। আমি তাদের দুই ভাইয়ের বিচার চাই।
এ বিষয়ে শ্রীপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক নয়ন ভুঁইয়া বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষ হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।সহকারী পুলিশ সুপার কালিয়াকৈর সার্কেল আজমির হোসেন বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই। বিস্তারিত জানার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
