ইয়েমেন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, দেশটির বিরুদ্ধে ‘তিন শয়তান’ আমেরিকা, ব্রিটেন ও ইসরাইলের আগ্রাসী তৎপরতা বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন জানানো থেকে দেশটিকে বিরত রাখা যাবে না।
ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতা আব্দুল-মালিক আল-হুথি মঙ্গলবার রাতে টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, গাজায় ইসরাইলি ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের প্রতিশোধ নিতে ইয়েমেন লোহিত সাগরে ইসরাইল-সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোতে হামলা চালানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনের ফলে তা বন্ধ হবে না।
আব্দুল-মালিক আল-হুথি বলেন, আমেরিকা বিশ্বের বেশিরভাগ দেশকে হুমকি ও ভয় দেখিয়ে পদানত করার নীতি গ্রহণ করেছে। ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে বেশিরভাগ আরব দেশ আমেরিকার ভয়ে ভীত থাকলেও ইয়েমেন ব্যতিক্রমি অবস্থান নিয়েছে। হুথি নেতা বলেন, নয় বছরের সৌদি নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনের পরও ইয়েমেনের জনগণ ভীত হয়নি বরং তারা গাজা পরিস্থিতির ব্যাপারে একটি দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে।
তিনি সংকল্প ব্যক্ত করে বলেন, “আমরা তিন শয়তান আমেরিকা, ইসরাইল ও ব্রিটেনকে মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং এজন্য যত ত্যাগ স্বীকার করতে হয় তা করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। এক্ষেত্রে আমাদের বিজয় নিশ্চিত।” আল-হুথি ইয়েমেনকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন যেটি মার্কিন দম্ভকে ভয় পায় না। তিনি বলেন, “লোহিত সাগরে ইয়েমেনের হামলা থেকে বাঁচার জন্য ইসরাইলের মতো আমেরিকাও নিজের জাহাজে অন্য দেশের পতাকা উড়িয়ে ছদ্মবেশ ধারন করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা আমাদের হামলা থেকে বাঁচতে পারবে না।”
হুথি আনসারুল্লাহ নেতা বলেন, লোহিত সাগরের পরিস্থিতি শান্ত করার একমাত্র উপায় গাজায় আগ্রাসন বন্ধ করে সেখানে অবাধে খাদ্য ও ওষুধ প্রবেশ করতে দেয়া। তা না হলে আমাদের হামলা আরো বেড়ে যাবে।