গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা সূত্রাপুর ইউনিয়নের টালাবহ এলাকায় স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে গরম তেল ও ভাতের মাড় ঢেলে শাহিদা আক্তার নামের এক গৃহবধূকে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই ঘটনায় গৃহবধূর বাবা সাইজ উদ্দিন বাদী হয়ে বুধবার দুপুরে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঝলসে যাওয়া গৃহবধূ শাহিদা আক্তার (২২) কালিয়াকৈর উপজেলার নামাশুলাই এলাকার রুবেল মিয়ার স্ত্রী ও উপজেলার টালাবহ এলাকার সাইজ উদ্দিনের মেয়ে। রুবেল মিয়া উপজেলার নামাশুলাই এলাকার নিগুম বাদশার ছেলে।
এলাকাবাসী ও গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলার টালাবহ এলাকার সাইজ উদ্দিনের মেয়ে শাহিদা আক্তারের সঙ্গে ৫ বছর আগে সামাজিকভাবে একই উপজেলার নামাশুলাই এলাকার নিগুম বাদশার ছেলে রুবেল মিয়ার বিয়ে হয়। তাদের সংসার জীবনে রাকিবুল ইসলাম সাদিত নামে তিন বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। ছেলে জন্ম নেওয়ার পর থেকে নগদ টাকা যৌতুকের জন্য শাহিদাকে বিভিন্ন সময় তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি নির্যাতন করে আসছিলেন।
আহত গৃহবধূ শাহিদা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে বাবার বাড়ি থেকে ৩ হাজার টাকা এনে দিতে বলেন স্বামী রুবেল। এতে অস্বীকার করলে তাদের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায় স্বামী রুবেল ও শাশুড়ি রমিছা বেগম ভাত রান্না অবস্থায় গরম ভাতসহ ভাতের মাড় তার শরীরে ছুড়ে দেয়। এতে তার বাম হাত, কান, পিটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। খবর পেয়ে তার বাবার বাড়ির লোকজন নামাশুলাই এলাকায় গিয়ে তাকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
সেখান থেকে বুধবার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করা হয়। কিন্তু বাবা-মায়ের অর্থ অভাবে ঢাকা নিয়ে তার উন্নত চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না পরিবারের পক্ষে।
অভিযুক্ত স্বামী রুবেল জানান, যৌতুক চাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। ওই দিন আমাদের শিশু সন্তানকে মারধর করলে আমি আমার স্ত্রীকে শাসন করতে যাই। এ সময় রান্নার সময় গরম ভাত হঠাৎ তার শরীরে গিয়ে পড়ে।
কালিয়াকৈর থানার এসআই রাহাদুজ্জামান আকন্দ জানান, গরম ভাতের মাড় ঢেলে ঝলসে দেওয়ার ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে।
