সংবাদ প্রকাশের পর শ্রীপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শন
Advertisements

দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকায় শ্রীপুরের বাউনি গ্রামে প্যারাগন এগ্রো লিমিটেড নামক কারখানার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ত্রুটিতে, প্রায় ২০০ বিঘা ফসলি জমির উৎপাদন হুমকিতে পড়েছে প্রসঙ্গে একটি অনুসন্ধানী খবর প্রকাশ পায়। রিপোর্টটি দৈনিক জবাবদিহির অনলাইন ভার্সনে তাৎক্ষণিক প্রকাশ পায় এবং প্রিন্ট ভার্সনে প্রকাশ পায় ১৬ নভেম্বর ২০২১ তারিখে। খবর প্রকাশের বক্তব্য নেয়ার সময় পরিবেশ অধিদপ্তর, গাজীপুর এর উপপরিচালক মোহাম্মদ নয়ন মিয়া কারখানাটি টিম ভিজিট করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।

পরে ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় পরিবেশ অধিদপ্তর, গাজীপুর এর উপপরিচালক নয়ন মিয়ার কথা বাস্তবায়ন করেন উপপরিচালক মোহাম্মদ মমিন ভূঁইয়া। ভূঁইয়াসহ একটি টিম প্যারাগন এগ্রো লিমিটেড এর ওই কারখানাটি তাৎক্ষণিক পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনের সময় কারখানারটির ভেতরে মুরগী পোড়ানোর জন্য প্রায় ২০০ ফিট উঁচু চুল্লি ব্যবহার করার নীতি লঙ্ঘন করার বিষয়টি সামনে আসে। অর্থাৎ তারা খোলা আকাশের নিচেই মৃত মুরগী পোড়াচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

পরিদর্শন শেষে চলে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী খবর পেয়ে কারখানার ফটকে এসে হাজির হয়, এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালকের নিকট এলাকাবাসী তাদের নানা সমস্যার মৌখিক অভিযোগ জানালে পরিবেশ কর্তৃপক্ষ তা নোট করে নিয়ে যান।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুকুরের মাছ, ব্যাঙ, সাপসহ জীববৈচিত্র প্রায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে এই কারখানার চারপাশে। সাইসাথে অত্যধিক বিষাক্ত গ্যাসের দুর্গন্ধে রোগবালাই লেগেই থাকে এই এলাকার মানুষের।

কারখানাটির সহকারী ম্যানেজার আসাদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে কারখানায় একসঙ্গে ৪ লাখ ২৩ হাজার ব্রয়লার মোরগ উৎপাদন করা হয়।

পরিদর্শনের এলাকাবাসী পরিবেশ কর্মকর্তাদের অভিযোগ করে বলেন, প্রায় সাড়ে চার লাখ মুরগীর বর্জ্য এবং বিষাক্ত পানিসহ ছেড়ে দিয়েছে সরাসরি কৃষকদের ফসলি জমিতে। এতে প্রায় ২০০ বিঘা ফসলি জমির ধান উৎপাদন প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। শুধু তাই নয়, দুর্গন্ধের কারণে মানুষ ঠিকমতো খাবার খেতে পারছেনা। ওই এলাকায় কেউ বিয়ে করতে গেলে দুর্গন্ধের কারণ ফেরত আসছে।

সার্বিক অনিয়ম ও পরিবেশের মারত্মক বিপর্যয় প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তর, গাজীপুর এর উপপরিচালক মোহাম্মদ মমিন ভূঁইয়া বলেন, আমি গতকাল কারখানাটি পরিদর্শন করেছি। আমাদের সদর দফতরে মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট আছে। আমি যা যা পেয়েছি, সেখানে রিপোর্ট করে পাঠিয়ে দিবো। সেখান থেকে জরিমানা অথবা কারখানাটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

Advertisements