রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে মার্কিন নির্মিত একটি পেট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে। সোমবার রাতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের ওপর রাশিয়া যে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তাতে পেট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাটি ধ্বংস হয়।
তবে মার্কিন দুজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, পেট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়নি, সম্ভবত কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিএনএন-সহ মার্কিন কয়েকটি গণমাধ্যমও এ খবর দিয়েছে।
মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের কথা সর্বপ্রথম প্রকাশ্যে আসে গতকাল রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি প্রকাশের পর। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়ার হাইপারসনিক কিঞ্জাল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে পেট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি ব্যাটারি ধ্বংস করা হয়েছে।
এ সম্পর্কে আমেরিকার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, আমেরিকা এবং ইউক্রেন এরইমধ্যে ব্যবস্থা মেরামতের বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে। সম্ভবত এই ব্যবস্থা ঠিকঠাক করতে ইউক্রেন থেকে সরিয়ে আনার প্রয়োজন হবে না। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, আগামী দিনগুলোতে পেট্রিয়টের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে আরো তথ্য পাওয়া যাবে এবং তা পরিবর্তিত হতে পারে।
হোয়াইট হাউজের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কারবি সাংবাদিক বলেন, পেট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস কিংবা ক্ষতির ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত কোনো তথ্য জানাতে পারছেন না। তবে তিনি বলেন, পেট্রিয়ট ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা অবশ্যই ইউক্রেনের বাইরে এনে মেরামত করা হবে।
এদিকে, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী গতকাল দাবি করেছে, তারা রাশিয়ার ১৮টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে যার মধ্যে ছয়টি হাইপারসনিক কিঞ্জাল ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ইউক্রেনের এই দাবি নাকচ করে বলছেন, তার দেশের সেনারা এতগুলো কিঞ্জাল ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়েইনি। তিনি বলেন, রাশিয়া যে কয়টি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, ইউক্রেন তার চেয়ে তিনগুণ বেশি কিঞ্জাল ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের দাবি করেছে।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার আরো দাবি করেছে, বাখমুট শহর থেকে রাশিয়ার সেনারা পিছে হটতে বাধ্য হয়েছে কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এই শহরের গভীর অভ্যন্তরে যুদ্ধ করছে রাশিয়া সেনারা। এ অবস্থার মধ্যে রাশিয়ার বেসরকারি সেনা গোষ্ঠী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোযিন জানিয়েছেন, বাখমুটে ইউক্রেনের সেনাদের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে আমেরিকার একজন স্বেচ্ছাসেবক নিহত হয়েছে।