রংপুরের জনসভায় নৌকায় ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
Advertisements

আজ নির্বাচনের দিনে ভারতকে তার শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ভারতের মতো বিশ্বস্ত বন্ধু পেয়ে বাংলাদেশ ভাগ্যবান। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সমর্থনের কথাও তুলে ধরেন। ভারতের উদ্দেশে দেয়া বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা খুবই ভাগ্যবান…ভারত আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা আমাদের সমর্থন করেছিল। ১৯৭৫ সালের পর, যখন আমরা আমাদের পুরো পরিবারকে হারিয়েছিলাম তারা আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল। তাই ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের শুভকামনা।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭৫ সালে তার পরিবারের গণহত্যার ভয়াবহতা বর্ণনা করেছেন। সেদিন তার পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়েছিল এবং তিনি কয়েক বছর ধরে ভারতে নির্বাসিত জীবনযাপন করেছিলেন।

পরে তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেন। আজ ভোট দেয়ার পর হাসিনা দেশের উন্নয়নের জন্য গণতন্ত্রের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে বলেন, বিগত বছরগুলোতে তার সরকার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি বলেন-‘আমাদের দেশ সার্বভৌম এবং স্বাধীন…আমাদের বিশাল জনসংখ্যা ।

আমরা জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি।আমি নিশ্চিত করতে চাই যে, এই দেশে গণতন্ত্র অটুট থাকুক এবং গণতন্ত্র ছাড়া আপনি কোনো উন্নয়ন করতে পারবেন না। যেহেতু আমরা ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত একটি দীর্ঘমেয়াদী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রয়েছি তাই বাংলাদেশ এতকিছু অর্জন করতে পেরেছে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোর দিয়ে বলেন যে, তার সরকার এমন একটি পরিবেশ তৈরি করেছে যেখানে লোকেরা ভোট দিতে পারবে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ…অনেক বাধা ছিল। কিন্তু আমাদের দেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার এবং নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অনেক সচেতন। তারা বাইরে এসে ভোট দিতে পারছে ।’

তিনি বিরোধী দল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)- এর বিরুদ্ধে দেশে সহিংসতা উসকে দেয়ার অভিযোগ তুলে বলেন ‘বিএনপি ও জামায়াত বেশ কিছু অগ্নিসংযোগ এবং অন্যান্য সহিংস কর্মকাণ্ড করেছে, যেমন ট্রেন পোড়ানো, গাড়ি পোড়ানো, জনগণের আন্দোলন বন্ধ করা… আমি বলব যে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তারা দেশপ্রেমিক নয় এবং তারা মানুষের উন্নয়নের পরিপন্থী। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়।’

সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া

Advertisements