ভিয়েনায় বন্দুকধারীদের হামলা
Advertisements

অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার ব্যস্ততম অংশে একাধিক বন্দুকধারীর হামলায় দুইজন নিহত হয় এবং কয়েজন আহত হয় । ভিয়েনা এটাকে ন্যক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলা বলে অভিহিত করেন।

গোলাগুলির ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। ভিয়েনার মেয়র মাইকেল লুডভিগ গণমাধ্যম ওআরএফকে বলেছেন যে, হামলায় আহত একজন মহিলা মঙ্গলবার ভোরে হাসপাতালে মারা যান ।

হামলার ঘটনায় এক বন্দুকধারীও নিহত হয়েছেন। কতজন হামলাকারী এই হামলায় অংশ নিয়েছেন, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। অস্ট্রিয়ার গণমাধ্যম বলছে, এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৮ টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে । পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে বন্দুকধারী ব্যক্তিরা ভিয়েনার কেন্দ্রস্থলের ছয়টি স্থানে এলোপাতাড়ি গুলি চালান। এতে একজন সাধারণ ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অপরজনের মৃত্যু হয় হাসপাতালে।

করোনাভাইরাস বিস্তার ঠেকাতে দেশতে নতুন বিধিনিষেধ কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা আগে এ হামলার ঘটনা ঘটলো। অনেক মানুষই তখন পানশালা ও রেস্তোরাঁয় ছিলেন যা এখন থেকে নভেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনসহ ইউরোপের নেতারা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

হামলাকারীদের ধরতে পুলিশের অভিযান এখনো চলছে বলে স্থানীয় গণ্মাধ্যম সূত্রে জানা যায় । এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে দূরে থাকতে, এবং গণপরিবহন ব্যবহার না করতে অনুরোধ করেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার স্কুলগুলি বন্ধ থাকবে।

হামলা সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে?

পুলিশ বলছে ঘটনাটির সূত্রপাত হয়েছে ইহুদিদের একটি সিনাগগের কাছে যা শহরটির প্রধান উপাসনালয় হিসেবে সুপরিচিত।

ইহুদি সম্প্রদায়ের নেতা ওসকার ডাচ টুইট করে বলেছেন, স্থানীয় সময় রাত আটটার দিকে (জিএমটি: সন্ধ্যে ৭ টা) হামলা শুরুর সময়ে সিনাগগটি বন্ধ ছিলো।

তবে ক্রনেন যেইটাং নামে একটি পত্রিকার খবরে বলা হচ্ছে, সিনাগগ প্রহরার দায়িত্বে থাকা একজন কর্মকর্তাও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

যদিও প্রাথমিকভাবে এটি এখনো পরিষ্কার নয় যে কতজন হামলাকারী এ হামলায় অংশ নিয়েছেন।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে অস্ট্রিয়ার গণমাধ্যম বলছে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া ভিডিওতে গুলির শব্দ শোনা গেছে ও এবং রাস্তায় লোকজনকে দৌড়াতে দেখা গেছে।

গুলি শুরুর সময় কাছেই একটি রেস্তোরাঁয় ছিলেন ক্রিস ঝাও।

বিবিসিকে তিনি বলছেন, “আমরা আতশবাজির মতো কিছু শব্দ শুনছিলাম। ২০-৩০ টি শোনার পর আমরা ভাবলাম বন্দুকের গুলি। এরপর আমরা অ্যাম্বুলেন্স দেখলাম। কাছেই রাস্তায় একজনকে পড়ে থাকতে দেখেছি”।

বড় ধরণের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এলাকাবাসীকে ওই এলাকা এড়িয়ে যেতে ও গণপরিবহন ব্যবহার না করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে

পার্শ্ববর্তী দেশ চেক প্রজাতন্ত্রের পুলিশ বলছে হামলাকারীরা এ পথ ধরে আসতে পারে আশংকায় তারা অস্ট্রিয়া সীমান্তে তল্লাশি শুরু করেছে।

Advertisements