ময়মনসিংহে চা চাষে - বৃহত্তর ময়মনসিংহে চা চাষের ‘প্রত্যাশা’ - সত্য ও নিরপেক্ষ সংবাদ
Advertisements

জামালপুর, শেরপুরসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহের পাঁচটি জেলার সাড়ে ১৩ হাজার জমিতে ‘চা চাষ সম্ভব’ বলে মনে করছে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট।

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার পশ্চিম বাকাকুড়া ও শ্রীবরদী উপজেলার ঝোঁলগাঁও এলাকার চা বাগানে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় যোগ দিয়ে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক মোহাম্মদ আলী সোমবার এ বিষয়ে কথা বলেন। ঝিনাইগাতীর পশ্চিম বাকাকুড়া ও শ্রীবরদীর ঝোঁলগাঁওয়ে ইতোমধ্যে ক্ষুদ্র পরিসরে কয়েকটি চা বাগান গড়ে উঠেছে।

দুই কর্মশালায় শেরপুরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে চা বাগানে পাতা চয়ন, প্রুনিং (গাছ ছেঁটে দেওয়া) ও পোকামাকড়-রোগবালাই দমন বিষয়ে ক্ষুদ্র চা চাষিদের ধারণা ও পরামর্শ দেওয়া হয়।

কর্মশালায় চা চাষ বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য ও পরামর্শ দেন বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. তৌফিক আহম্মদ এবং ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও নর্দার্ন বাংলাদেশ প্রকল্পের পরিচালক ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন।

চা গাছের চারা লাগানো থেকে শুরু করে সবুজ পাতা তোলা এবং প্রক্রিয়াজাতকরণে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা বলেন চা বোর্ডের কর্মকর্তারা।
মোহাম্মদ আলী বলেন, বাংলাদেশ চা বোর্ড ৭৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০০ হেক্টর জমিতে চা চাষ সম্প্রসারণের জন্য ‘বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় ক্ষুদ্রায়তন চা চাষ সম্প্রসারণ’ নামে একটি প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।

“ওই প্রকল্পের আওতায় শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী, নালিতাবাড়ী ও নকলা উপজেলার ১৫০ হেক্টর জমিতে ক্ষুদ্রায়তন চা চাষ সম্প্রসারণ করা হবে।”

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব সুবর্ণা সরকার, গারো হিলস টি কোম্পানি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমজাদ হোসেন, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. তৌফিক আহম্মদ, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও নর্দার্ন বাংলাদেশ প্রকল্পের পরিচালক ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, জামালপুর, শেরপুরসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে চা চাষের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে ২০০৪ এবং ২০১৯ সালে সমীক্ষা হয়। তাতে দেখা যায়, বৃহত্তর ময়মনসিংহের পাঁচ জেলার ১৫টি উপজেলায় মোট ১৩ হাজার ৬৪৫ একর জমিতে চা চাষ সম্ভব।
“ওই জমি চা চাষের আওতায় আনা হলে বছরে এই অঞ্চল থেকে ১৬ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হবে।”

ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদীতে আয়োজিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ‘গারো হিলস টি কোম্পানি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমজাদ হোসেন, প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সুবর্ণা সরকার।

আমজাদ হোসেন বলেন, ঝিনাইগাতীর পশ্চিম বাকাকুড়া ও শ্রীবরদীর ঝোঁলগাঁওয়ে ক্ষুদ্র পরিসরে যেসব চা বাগান গড়ে উঠেছে, সেখান থেকে ইতোমধ্যে উৎপাদনও হচ্ছে।

Advertisements