পরকীয়া
Advertisements

গাজীপুর কাপাসিয়ার বারিষাব ইউনিয়নের লোহাদী নরসিংহপুর এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে বজলুর রহমানের সঙ্গে প্রায় ২০ বছর আগে ওই নারীর বিয়ে হয়। বিয়ের ২০ বছর পর পরকীয়া প্রেমিক রায়েদ ইউনিয়নের দরদরিয়া গ্রামের আমান উল্লাহ’র ছেলে শরীফ (৩৯) সঙ্গে পালিয়ে যায় ওই নারী। এই সংসারে ১৭ ও ৯ বছর বয়সী দুটি মেয়ে রয়েছে। পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই নারী প্রবাসী স্বামীর অর্থ ও স্বর্ণালংকার সাথে নিয়ে যায়।

গত ১৩ ডিসম্বর সকাল ১১টার দিকে স্হানীয় আমরাইদ বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায় ওই নারী।

মামলা সূত্রে জানা যায়,বজলুর রহমানের সঙ্গে প্রায় ২০ বছর আগে ওই নারীর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১৭ ও ৯ বছর বয়সী দুটি মেয়ে রয়েছে। জীবিকার তাগিদে প্রায় ৯ বছর আগে ইরাকে পাড়ি দেন বজলুর। বজলুর অর্জিত টাকা তার স্ত্রীর নামে কৃষি ব্যাংক আমরাইদ বাজার শাখায় পাঠাতেন। তিনি সব মিলিয় স্ত্রীর কাছে ১২ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন।

প্রবাসে যাওয়ার পর বজলুর স্ত্রী পরকীয়ার জড়িয়ে যায় দরদরিয়া গ্রামের আমান উল্লাহ’র ছেলে শরীফ (৩৯) সঙ্গে। তার ঘরেও স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। এক পর্যায়ে তাদের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ট হয় এবং তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হতে থাকে। এমনকি বিভিন্ন কৌশলে ওই নারীর ব্যাংক হিসাব থেকে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

অবশেষে গত ১৩ ডিসম্বর সকাল ১১টার দিকে স্হানীয় আমরাইদ বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন ওই নারী। ফিরতে দেরি হওয়ায় তার নাম্বারে ফোন দিয় বন্ধ পাওয়া যায়। পর সম্ভাব্য সব স্হানে খোঁজ করে ওই নারীর হদিস না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়রি করেন তার বড় মেয়ে। কয়েকদিন পর জানতে পারেন ওই নারী শরীফের হাত ধরে পালিয়ে গেছেন। পরে দেখা যায় ঘর ছাড়ার সময় ব্যাংকে জমাকৃত সব অর্থ ও ঘরে গচ্ছিত স্বর্ণালংকার সঙ্গে নিয়েছেন ওই নারী।

এরপর থানা-পুলিশ ঘুরে গাজীপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালত-২ এ শরিফ এবং ওই নারীর বিরুদ্ধে মামলা করেন (সিআর মোকদ্দমা নং- ৬২২/২১) বজলুরের বড় ভাই মো. সুরুজ মিয়া।

মামলার আইনজীবী সেলিম উদ্দিন জানান, সব জেনেও নিজের বউ-বাচ্চা ফেলে অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছেন শরীফ। মামলায় তিনটি ধারায় অবৈধ মেলামেশা, নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। বিষয়টিকে আমলে নিয়ে গাজীপুর সিআইডিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন শরীফ খারাপ মানুষ, তাঁর বিরুদ্ধে এলাকায় ও বিভিন্ন স্হানে দাঙ্গা হাঙ্গামাসহ নানা ধরনের অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।এ ব্যাপারে শরীফের মোঠোফোনে বার বার কল দিয়েও তার বক্তব্য তাকে পাওয়া যায়নি।

রায়েদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল হাকিম মোল্লা হিরণ জানান অনেক চেষ্টা করেও মেয়েকে উদ্ধার করতে পরিনি। লম্পট শরীফের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করছি।

Advertisements