ফ্রান্সে প্রতি তিন দিনে এক নারী নিহত
Advertisements

সম্প্রতি ফরাসি দৈনিক লোপারিজিন-এ একটি ভয়ানক তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তথ্যটি হল ফ্রান্সে প্রতি তিন দিনে এক জন নারী তার জীবন-সঙ্গীর হাতে নিহত হচ্ছে!

পশ্চিমা সমাজের বর্তমান দার্শনিক ভিত্তি হল প্র্যাগমিটিজম বা বাস্তবতাবাদ। যা কিছু মানুষের বস্তুগত সমৃদ্ধির অনুকূল নয় তা-ই সেখানে অসম্মানিত তা যে কোনো ধর্ম বা দর্শনই হোক না কেন! ফলে পরিবার ব্যবস্থা এখন পশ্চিমা নাগরিকদের কাছে একটা বোঝার মত। সন্তানদের সুশিক্ষিত করা ও দায়িত্বশীল করার চেয়েও তাদের কাছে এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বস্তুগত সুখ বা দৈহিক ভোগ-বিলাস! আর এই দৃষ্টিভঙ্গির পরিণতিতে ফ্রান্সের ষাট শতাংশেরও বেশি শিশুর জন্ম হচ্ছে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের মাধ্যমে!

এই পরিসংখ্যান বেশ ভয়ানক হলেও আরও ভয়ানক যেসব খবর খুব কমই মিডিয়ার জগতে আসছে সেসব হল যৌন বিকার ও অনাচার, নিষিদ্ধ সম্পর্কের আত্মীয় বা আপনজনের সঙ্গে বিয়ে করা (যেমন আপন ভাই ও বোন বা জনক বা জননীর সঙ্গে বিয়ে), পশুদের সঙ্গে বিয়ে ইত্যাদি! এভাবে মানুষের প্রকৃতিগত পবিত্র স্বভাব পাশ্চাত্যের অর্থ-পূজারী ও স্বেচ্ছাচারী ভোগবাদী দর্শনের পদতলে পিষ্ট হচ্ছে।

আতঙ্কের বিষয় হল পশ্চিমা সরকারগুলো এইসব নৈতিক অধঃপতনকে উস্কে দিচ্ছে এবং এ ধরনের জীবন-ধারাকে নানা কৌশলে অন্যান্য দেশেও বা অন্য জাতিগুলোর ওপরও চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে যাতে এইসব বিচ্যুতিকে জনগণ স্বাভাবিক বিষয় বলে মেনে নেয়! অন্যদিকে ফরাসি সরকারসহ পশ্চিমা কোনো কোনো সরকার নারীদের ইসলামী শালীন পোশাক বা হিজাব পরাকে নিষিদ্ধ করছে ইসলাম ধর্মের প্রতি পশ্চিমা নারীদের আকর্ষণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে।

পশ্চিমা বাস্তবতাবাদের সমর্থকরা ও কথিত নারী অধিকারের সমর্থকরা এক বছরে এতসব নারী নিহত হওয়ার বিষয়ে কি জবাব দিবেন? ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক নৈতিকতা থেকে দূরে সরে যাওয়া পশ্চিমা বস্তুবাদীরা এখনও কি বিবেককে বন্ধক দিয়ে রাখবেন? মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীবের মর্যাদা থেকে নামিয়ে আনার সহযোগী পশ্চিমা মিডিয়া তথা মিডিয়া সাম্রাজ্যবাদ এইসব খবরকে চেপে রাখছে বলে এই তথ্য-সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে পশ্চিমা জনগণের কি বিদ্রোহ করা উচিত নয়?

Advertisements