কাদের
Advertisements

নিজ নিজ এলাকায় নিজস্ব বলয় শক্তিশালী করতে নিজের লোক দিয়ে আওয়ামী লীগের কমিটি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘ত্যাগী কর্মীদের দূরে সরিয়ে না রেখে কাছে টেনে নিতে হবে। তাদের রাজনীতির পথ মসৃন করতে হবে। কারণ তারাই দুঃসময়ে দলের পাশে থাকবে।’

শনিবার সকালে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, একটি শক্তিশালী এবং গণমুখী সংগঠনের জন্য ঐক্যের বিকল্প নেই। সংগঠনের মজবুত জনভিত্তি তৈরি করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, মাদকসেবী ও চিহ্নিত অপরাধীদের বিষয় থেকে আগেভাগেই সতর্ক থাকতে হবে।

৭ নভেম্বরের বেনিফিশিয়ারি ছিলেন জেনারেল জিয়া উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিপ্লব ও সংহতির মোড়কে সেদিন ষড়যন্ত্র করে অনেক মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মহান অর্জন ও চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করতে এবং দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে ১৯৭৫’র ৩ থেকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে অনেক ঘটনাই ঘটেছিল; যার মধ্যে অনেক কিছুই এখনও ইতিহাসের আড়ালে রয়ে গেছে।

‘ইতিহাসের এসব অজানা তথ্য তদন্তের মাধ্যমে বের করে আনা এখন সময়ের দাবি।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের শেকড় এ দেশের মাটির অনেক গভীরে, আর দেশের জনগণই আওয়ামী লীগের অস্তিত্বের শেকড়।

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার কারণে বিএনপি এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। ফলে তাদের রাজনীতি এখন লাইফ সাপোর্টে।

Advertisements