কিস্তি দেয়ার চিন্তায় নিম্ম আয়ের লোকেরা
Advertisements

দেশে করোনার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করায় সরকার ১৪ এপ্রিল ২০২১ থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেন। যার আওতামুক্ত শুধু জরুরী সেবা, কাঁচামাল, ফায়ার সার্ভিস ও এম্বুলেন্স ইত্যাদি।

যদিও প্রজ্ঞাপন জারি তে দেখা যায় ব্যাংকের কথা। সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ব্যাংক চলবে। দেখা গেছে বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তারা বাড়িতে গিয়ে লোনের টাকা উঠাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে লোনের টাকা জন্য বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গা থেকে চাপ আছে।

যাহারা খেটে খাওয়া মানুষ, নুন আনতে পান্তা ফুরায়, তাদের কথা চিন্তা না করে লোনের টাকার জন্য হাজির ব্যাংক কর্মকর্তারা । যেসকল লোক দৈনিক আয় রোজগারে ব্যাস্ত থাকেন তাদের মধ্যে, গাড়ী চালক, রিক্সা চালক, সাধারণ মুদির দোকান, চায়ের দোকান, রাজমিস্ত্রী অন্যতম। এইসকল সাধারণ খেটে খাওয়া লোকগুলো যদি একদিন রোজগারের জন্য ঘড় থেকে না বের হয়, তাহলে তাদের সংসারে চুলোয় আগুন জ্বলে না আবার তারা ব্যাংকের লোন কিভাবে পরিশোধ করবে। তাই খেটে খাওয়া মানুষের দিকে লক্ষ রেখে সরকার যে কোন সিদ্ধান্ত নিবেন, তাহা হবে বাস্তবমূখী সিদ্ধান্ত।

খেটে খাওয়া মানুষেরা কান্না বিজরিত কন্ঠে বলেন, মৃত্যুর ভয় কি শুধু ধনী ব্যাক্তিদের? আমরা শ্রমিক বিধায় আমাদের মৃত্যুর কোন মৃল্য নাই? দেশের সবকিছু যখন বন্ধ, সেখানে ব্যাংকের লোন কিভাবে দিব ? আমরা কি এদেশের জনগন না? এবং তারা আরো দাবী জানায় আগের মতো এবারও যেনো কিস্তি দেওয়া বন্ধ করে সরকার। কারন তাদের কিস্তি টাকার অনুযায়ী লোন এর মাএা কম। ভুক্তভোগীরা বলেন যদি কিস্তি নেওয়া বন্ধ না করে তবে যেনো কিস্তির পরিমান কমিয়ে কিস্তির সময় বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বলেন। নাহলে তাদের না খেয়ে মরতে হবে বলে কেঁদে ফেললেন এই অসহায় মানুষ।

সকল প্রশ্নের উত্তর আমরা আপনাদের মাধ্যমে সরকারের নিকট জানাতে ও জানতে চাই যে দেশের সবকিছু যদি বন্ধ থাকে আমরা কিভাবে উপার্জন করবো কিভাবে নিজেদের পেট চালাবো এবং কিভাবে ব্যাংকের লোন পরিশোধ করব।

ইয়ামিন হোসেন পাটোয়ারী

Advertisements