করোনায় আসলে কত মানুষ মারা গেছে
Advertisements

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু বলেছে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণে এ পর্যন্ত যত মানুষ মারা গেছে বলে সরকারিভাবে স্বীকার করা হচ্ছে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা এরচেয়ে দুই থেকে তিনগুণ বেশি।

হু’র সহকারী মহা পরিচালক সামিরা আসমা এক ভার্চুয়ল প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেন। তিনি বলেন, “সম্ভবত আমরা এমন একটা পরিস্থিতির মুখোমুখি অবস্থায় আছি যেখানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে করোনাভাইরাসের মহামারীতে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা কমিয়ে বলা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আমি মনে করি করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত ৬০ থেকে ৮০ লাখ লোক মারা গিয়ে থাকতে পারে।”

সামিরা আসমা স্পষ্ট করে বলেন, লাতিন আমেরিকা ও এশিয়ার দেশগুলোতে করোনায় মৃত্যুর যে সংখ্যা বলা হচ্ছে প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ বেশি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের পরিসংখ্যান সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদন তুলে ধরে আরো বলেছে, ২০২০ সালে করোনাভাইরাসে কমপক্ষে ৩০ লাখ মানুষ মারা গেছে অথচ বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে ১২ থেকে ১৮ লাখ মানুষের মৃত্যুর কথা স্বীকার করা হয়েছে।

বিভিন্ন দেশের মৃত্যুর যে পরিসংখ্যান তুলে ধরা হচ্ছে সে সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ কর্মকর্তা বলেন, বহু মানুষ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরীক্ষার আগেই মারা গেছে অথচ এ সমস্ত মানুষের ভাইরাস পরীক্ষা করলে অনেকের মৃত্যুই করোনার কারণে হয়েছে বলে প্রমাণ হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে, ২০২০ সালের মে মাসের মধ্যে সারাবিশ্বে ৩৪ লাখ মানুষ মারা গেছে, তবে বাস্তবে এই সংখ্যাও অনেক বেশি হবে।

হু’র ডাটা এনালিস্ট উইলিয়াম মেসেম্বুরি বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারীতে যেসব পরোক্ষ কারণে মানুষ মারা গেছে তার মধ্যে রয়েছে হাসপাতালে সক্ষমতার ঘাটতি, আরোপিত লকডাউনের কারণে চলাচলে সমস্যা এবং অন্যান্য কিছু কারণে অনেক রোগী করোনার চিকিৎসা করাতে চান নি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে- বিশ্বের যেসব অঞ্চলে নির্ভরযোগ্য রিপোর্ট করার ব্যবস্থা রয়েছে সেসব জায়গায়ও মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে দেখানো হয়েছে। এক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে ইউরোপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যেখানে করোনাভাইরাসের মহামারিতে মানুষ মারা গেছে কমপক্ষে ১১ থেকে ১২ লাখ অথচ সরকারিভাবে দেখানো হয়েছে ছয় লাখের মতো।

পার্সটুডে

Advertisements