সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধান আবুধাবির গভীর অভ্যন্তরে গতকাল (সোমবার) ইয়েমেনের হুথি সমর্থিত সামরিক বাহিনী যে অভিযান চালিয়েছে তার বিস্তারিত জানিয়েছেন ইয়েমেনি সেনা মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি।
তিনি বলেন, ‘অপারেশন হারিকেন ইয়েমেন’ নামের এই অভিযান সফল হয়েছে এবং এতে পাঁচটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং বহু সংখ্যক ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, সম্প্রতি সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ইয়েমেনের বিরুদ্ধে সহিংসতা বাড়ানোর প্রেক্ষাপটে অপারেশন হারিকেন চালানো হয়েছে।
জেনারেল সারি বলেন, এই অভিযানে দুবাই এবং আবুধাবির বিমানবন্দরগুলো, আবুধাবির মুসাফফাহ তেল শোধনাগার এবং বহুসংখ্যক গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর স্থাপনায় হামলা চালানো হয়।
জেনারেল সারি সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিক এবং তাদের কোম্পানিগুলোকে সতর্ক করে বলেন, সমস্ত বিদেশি নাগরিককে এবং কোম্পানিগুলোকে নিরাপদ অবস্থানে থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত ইয়েমেনে আগ্রাসন অব্যাহত থাকবে ততক্ষণ সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের জন্য অনিরাপদ রাষ্ট্র, আমরা কোনো গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর স্থানে হামলা চালাতে দ্বিধা করবো না।”
এর আগে ইয়েমেনের যোদ্ধারা সতর্ক করে বলেছিল, আবুধাবির ভঙ্গুর কাঁচের সুউচ্চ ভবনগুলো তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে এবং সেখানে পৌঁছানো বেশ সহজ। শনিবার আল-মাসিরা পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, ভাড়াটে গেরিলা এবং উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসীদেরকে ইয়েমেনের মারিব ও শাবওয়া প্রদেশে পাঠিয়ে বিপজ্জনক খেলায় মত্ত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
পত্রিকাটি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিল- “পর্যবেক্ষকরা নিশ্চিত যে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই তৎপরতার জন্য মারাত্মক পরিণতি অপেক্ষা করছে এবং দেশটির জনজীবন, সম্পদ এবং অর্থনীতির ক্ষতি হবে মারাত্মক। আমিরাতের এই ক্ষতি ইয়েমেনের ভেতরে তৎপর সন্ত্রাসীদের বেলায় যেমন হবে, তেমনি হবে দেশটির তেল স্থাপনাগুলোতে। আমিরাতের ভঙ্গুর কাচের ভবনগুলোতে পৌঁছানো খুবই সহজ।”
পার্সটুডে