ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা এখন আর নিছক ‘কৌশলগত চুক্তির’ মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই বরং উভয় দেশ নিজেদের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা শক্তিশালী করতে সম্মত হয়েছে।
ফরাসি দৈনিক লা ফিগারোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান।
তিনি বলেন, ইরানের বর্তমান প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতিতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। এ কারণেই ইরান কয়েক মাস ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে বাগদাদ ও ওমানে নিরাপত্তা আলোচনা চালিয়ে গেছে।
আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, শেষ পর্যন্ত চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সৌদি আরব সফরে একটি শক্তিশালী রোডম্যাপ উত্থাপিত হয়।এর ফলে চীনা মধ্যস্থতায় সিদ্ধান্তকারী পদক্ষেপ নিয়ে তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের উদ্যোগ চূড়ান্ত হয়। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা এই উদ্যোগকে নিছক ট্যাকটিক্যাল চুক্তি বলে মনে করছি না।”
গত ১০ মার্চ চীনের মধ্যস্থতায় কয়েকদিনের নিবিড় আলোচনা শেষে সৌদি আরব ও ইরান নিজেদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন ও পরস্পরের দেশে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে প্রখ্যাত সৌদি শিয়া আলেম শেখ নিমর আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনার জের ধরে তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছিল।