মন্ত্রিসভা গঠনে ব্যর্থ হওয়ায় লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি পদত্যাগ করেছেন। ৪ আগস্ট,২০২০ বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণের পর হাসান দিয়াবের সরকার পদত্যাগ করার পর সাদ হারিরিকে প্রধানমন্ত্রী করে মন্ত্রিসভা গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। খবর মিডল ইস্ট আই ।
প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের সাথে একমত না হতে পেরে বৃহস্পতিবার ( ১৫ জুলাই) তিনি পদত্যাগের ঘোষণা করেন।
মাত্র ২০ মিনিট ধরে চলা আউনের সাথে বৈঠকের পর হারিরি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা পরিষ্কার যে আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে একমত হতে পারব না।এই কারণেই আমি সরকার গঠন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছি।’
ফিউচার মুভমেন্ট দলের এই নেতাকে অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করা হয়েছিল। তবে এখন চুক্তিতে পৌঁছানো কঠিক হয়ে পড়েছে,যার উপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক দলগুলি দ্রুত সমাধান পাবে।
এদিকে লেবাননের অর্থনৈতিক সংকট অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বব্যাংক গত ১৫০ বছরে এটিকে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের একটি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ২০১৯ সালের পর থেকে লেবাননি মুদ্রার মান ৯০ শতাংশ হারিয়েছে।
সাদ হারিরি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাফিক হারিরির ছেলে । যিনি ২০০৫ সালে এক বোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন। দেশটিতে সরকার গঠনে ব্যর্থ হওয়াতে সাদ হারিরিকে সরকার গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সরকার গঠনের এই পদ্ধতি দেশটিতে প্রথম।
লেবাননে সর্বোচ্চ পদগুলি আনুপাতিক হারে কিছু নির্দিষ্ট ধর্মীয় গোষ্ঠীর লোকদের প্রতিনিধির জন্য নির্ধারিত। এই ব্যবস্থায় কেবল সুন্নিদের থেকেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অনুমতি আছে। তাই এই নিয়ম মেনেই কাউকে অবশ্যই হারিরির স্থলাভিষিক্ত হতে হবে। তবে হারিরির মত এমন প্রাক্তন রাজনীতিবিদ নেবাননে এখন অনুপস্থিত।