পা ফাটার সমস্যা
Advertisements

শীতের হাওয়া অল্প অল্প করে হলেও গায়ে এসে পড়ছে। উত্তুরে হাওয়ার দাপটেই হোক বা এমনিতেই একটা সমস্যায় সারা বছর জেরবার থাকেন অনেকেই। শুষ্ক আবহাওয়ার হাত ধরে আসা যে সব সমস্যা নিয়ে নাজেহাল হতে হয়, পা ফাটা তার অন্যতম।

অনেকেরই সারা বছর কম-বেশি পা ফাটে। তবে শীতে যেন এই কষ্ট লাগামছাড়া। পায়ের পাতার তলদেশে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। পা ফেটে চামড়া উঠে যাওয়ার সমস্যা যেমন থাকে, তেমন অনেকের আবার রক্তও বেরয়। যদি ডায়াবিটিস রোগীর ক্ষেত্রে এই সমস্যা হয়, তাহলে তা বিপজ্জনক হতে পারে। সাধারণ ব্যক্তির ক্ষেত্রেও করোনা আবহে পা ফাটার সমস্যা থাকলে তা অবহেলা করা ঠিক নয়, এমনই বক্তব্য ত্বক চিকিৎসক অরিত্র সরকারের।

এমনিতেই দুই পায়ের পাতাই গোটা শরীরের ভর বহন করে, তার উপর পথঘাটে যাঁরা কাজে বেরোচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ধুলোর সংস্পর্শে থাকে পায়ের পাতা। তবু রূপচর্চায় পায়ের পাতাকেই সবচেয়ে বেশি অবহেলা করেন অনেকে। অথচ সারা বছর সামান্য যত্নেই পায়ের তলা আরামে থাকে।

বহু খরচ করে পার্লারের সমাধান নয়। রাসায়নিক দেওয়া ফুট ক্রিমের সুরাহাও নয়। নামমাত্র খরচে সহজলভ্য কয়েকটি উপাদান দিয়েই সুন্দর রাখতে পারেন পায়ের পাতা। শুধু পা ফাটা আটকাবে এমনই নয়, ইতিমধ্যে পা ফাটলেও এই নিয়মে ফেটে যাওয়া রুক্ষ অংশের যত্ন নিতে পারবেন অবলীলায়।

কী কী খেয়াল রাখতে হবে

১. যে কোনও রকম সংক্রমণ এড়াতে বাড়িতে হোক বা বাইরে, পায়ে সুতির মোজা পরে থাকতে বলছেন ডার্মাটোলজিস্ট অরিত্র সরকার। তাঁর কথায়, এতে পায়ে ধুলোবালিও কম লাগবে। ওয়াশেবল কভার দেওয়া জুতো পরতে হবে, যাতে পা ঢাকা থাকে। মোজাও নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।

২. বাইরে থেকে এসে বা বাড়িতে থাকলেও পা ভাল ভাবে ঘষে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

৩. বিশেষ করে ডায়াবিটিস থাকলে অল্প গরম জলে পা ডুবিয়ে রেখে মৃদু সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে নারকেল তেল বা ক্রিম লাগিয়ে নরম করে রাখতে হবে।

৪. পা ফাটার সমস্যায় মেডিকেটেড ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। ভেসলিনও ব্যবহার করলে উপকার মিলবে।

৫. পা ফাটার সমস্যা থাকলে পা পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার জাতীয় ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।

৬. গরম নারকেল তেল ব্যবহার করতে হবে ফাটার জায়গায়।

৭. গলানো মোমের সঙ্গে এক চামচ নারকেল তেল, এক চামচ অলিভ অয়েল, অল্প একটু মধু মিশিয়ে ফাটা জায়গায় লাগিয়ে রেখে ঘুমিয়ে পড়ুন। ঘুম থেকে উঠেই দেখবেন পায়ের তলায় এই আস্তরণ শক্ত হয়ে গিয়েছে। সহজেই এটি খুলে আসবে। এ ভাবে মাসখানেক যত্ন নিলে সমস্যার হাত থেকে খানিকটা হলেও রেহাই মিলবে।

সূত্রঃ আনন্দবাজার

Advertisements