বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “জনগণ কেয়ামত পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করবে না।” তিনি ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা চাই না আবারও নির্বাচনের জন্য রাজপথে আন্দোলন হোক। জনগণ চায় প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত ভোট। সংস্কারের নামে দীর্ঘ অপেক্ষা জনগণ মেনে নেবে না।”
শনিবার (১৭ মে) খুলনার সার্কিট হাউজ মাঠে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের আয়োজনে খুলনা ও বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, “নিজেকে অসীম ক্ষমতার অধিকারী ভাববেন না। বিদেশে গিয়ে কী কী চুক্তি করেছেন, তা জাতি জানতে চায়।” তিনি অভিযোগ করেন, “বর্তমান সরকার আসলে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে এমন ব্যক্তিরা রয়েছেন যারা এনসিপির সঙ্গে যুক্ত, এমনকি বিদেশি নাগরিকও আছেন। ফ্যাসিবাদের দোসরদেরও স্থান দেওয়া হয়েছে উপদেষ্টা পরিষদে। অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ করাতে হবে, নইলে অপসারণ করুন।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপির প্রস্তাবিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই একটি গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব। তরুণ ছাত্র-যুবকদের এই ৩১ দফার অ্যাম্বাসেডর হতে হবে।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। প্রধান বক্তা ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না। স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান এবং ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দিন নাসির অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, আততায়ীর গুলিতে নিহত তানু ভূঁইয়ার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক ফখরুল ইসলাম রনি এবং যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক প্রমুখ।
