সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীর সাথে ঘুরতে যেয়ে এক তরুণী গণধর্ষনের শিকার হয়। শুক্রবার রাতে সিলেট নগরীর টিলাগড় এলাকায় এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ৭ নম্বর ব্লকের একটি কক্ষের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের সময় কলেজ হোস্টেলে স্বামীকে বেঁধে রাখা হয়েছিল ।এসময় তার স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করা হয় বলে জানা যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে।
আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে মামলা করেন নিশ্চিত করেছেন শাহপরান থানার ওসি কাইয়ুম চৌধুরী। মামলাটি ছাত্রলীগের ৬ নেতা ও অজ্ঞাত আরও ৩ জনের বিরুদ্ধে হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে বলে জানিয়েছেন ওসি।
মামলার আসামিরা হলেন- এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ও ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, এম সাইফুর রহমান, অর্জুন এবং বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ।
তাদের মধ্যে সাইফুর রহমানের বাড়ি বালাগঞ্জে, রবিউলের বাড়ি দিরাইয়ে, মাহফুজুর রহমান মাছুমের বাড়ি সিলেট সদর উপজেলায়, অর্জুনের বাড়ি জকিগঞ্জে, রনি হবিগঞ্জের এবং তারেক জগন্নাথপুরের বাসিন্দা।
এদিকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় যে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছ তাদের মধ্যে সাইফুর রহমান নামে একজনের কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার ভোর রাতে ওই ছাত্রাবাসে সাইফুরের কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা, একটি ছুরি ও দুটি লোহার পাইপ উদ্ধার করে বলে ওসি কাইয়ুম চৌধুরী জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রাতে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।