গাজীপুরের শ্রীপুরে গাড়ারণ খলিলিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় শিক্ষকরা ক্লাস না করায় ছুটির আগেই শিক্ষার্থীরা চলে যাচ্ছে। কয়েকজন শিক্ষক ক্লাসের সময় থাকেন প্রতিষ্ঠানের বাইরে। এতে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। আজ বুধবার (১১ অক্টোবর ২০২৩) সরজমিনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
দুপুর ১২ টা ২৫ মিনিটে ৬ষ্ঠ শ্রেণিকক্ষে গিয়ে দেখা যায়, মাত্র দুইজন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রথম ক্লাসে উপস্থিত ছিল আটজন ছাত্র। বাকী ৬ জন-ই চলে গেছে। তারা ছুটি নেয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। দুপুর সাড়ে ১২ টায় নবম শ্রেণিকক্ষে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থী রয়েছে একজন। প্রথম ক্লাসে ছিল চারজন। এ শ্রেণি থেকেও চলে গিয়েছে তিনজন। এছাড়া সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণির কোনো শিক্ষার্থী পাওয়া যায়নি। সকল শিক্ষাকরা অফিসকক্ষে আড্ডাবাজিতে ব্যস্ত ছিলেন। কোনো শিক্ষককে-ই দুপুর সাগে ১২ টায় শ্রেণিকক্ষে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও সকল শিক্ষকদের সকাল দশটায় প্রতিষ্ঠানে আসার নিয়ম থাকলেও ইংরেজি শিক্ষক আব্দুল লতিফ এসেছেন দুপুর ১২ টায়। এছাড়াও এবতেদায়ী শিক্ষক আব্দুস ছালাম ও আরেক শিক্ষক মাওলানা সাইফুল ইসলাম ক্লাসের সময় বিভিন্ন জায়গায় চলে যান। ক্লাসের সময়ে এ তিন শিক্ষককে প্রতিষ্ঠানের বাইরে দেখা যায়।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক আব্দুল লতিফ, আব্দুস সালাম ও মাওলানা সাইফুল ইসলাম কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এসব বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির গণিতের শিক্ষক আব্দুল মজিদ বলেন, এখন চতুর্থ পিরিয়ড চলছে। এই মুহুর্তে ইংরেজি ক্লাস চলার কথা থাকলেও শিক্ষক কোথায় আছে বলতে পারবো না। এছাড়াও আজ বরমী বাজারের দিন থাকায় শিক্ষার্থীরা হয়তো চলে গিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের নাম মো. আব্দুল খালেক। তিনিও বিভিন্ন সময় ফাঁকিবাজি করে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের মুখে ফেলেছেন। এসব বিষয়ে তিনি বলেন, আমি উপজেলায় একটি মিটিংয়ে ছিলাম। আপনি এসেছেন, আমাকে জানিয়ে আসতে পারতেন। একথা বলে তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন। পরে আর তিনি রিসিভ করেননি।
শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল আমীন বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূরুল আমিন বলেন, ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বাইরে অন্য কাজে ব্যস্ত থাকা চরম খারাপ কাজ। শিক্ষকদের বেতন ভাতা দিয়ে রাখা হয়েছে শিক্ষা দানের জন্য, কাজে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নেই। আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।