একটি কারখানায় চাকুরি করতেন ধর্ষণের শিকার কিশোরী (১৬)। প্রতিবেশী রুপার সাথে তার ভালো সম্পর্ক। কারখানার চাকুরী ছেড়ে দেওয়ার পর বেতন তুলতে যান ধর্ষণের শিকার কিশোরীসহ বান্ধবী রুপা। বেতন উত্তোলনের পর বান্ধবী রুপা বেড়ানোর কথা বলে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নিজ মাওনা নিয়ে যায়। পরে উপজেলার শেষ সীমানার কাছাকাছি নিজ মাওনা গ্রামের একটি আকাশমনি বাগানে নিয়ে সেখানে ধস্তাধস্তি শুরু করে নাজমুল ও সিএনজি চালক এরশাদ। এরপর মারধর। এক পর্যায়ে অন্যান্যদের সহায়তায় গণধর্ষণ করে নাজমুল ও সিএনজি চালক এরশাদ।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভিকটিমের পিতা গত দুইদিন যাবত শ্রীপুর থানায় অভিযোগ করার চেষ্টা করছেন। সর্বশেষ রোববার (২০ মার্চ) বেলা ১১ টায় শ্রীপুর থানার ওসি ইমাম হোসেনের সাথে দেখা করেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পিতা গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আমার মেয়ে শুক্রবার সাড়ে ১১ টায় বাড়ি থেকে নিখোঁজ। পরে জানতে পারি তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। তাকে নিজ মাওনা গ্রামের মনির হোসেনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করি। পরে তার ছেলে শরিফুলের কাছে জানতে পারি ধর্ষণের ঘটনার বিষয়ে। শরীফুল নিজেও ধর্ষণে সহায়তা করেছে। আমি দুইদিন যাবত না খেয়ে শ্রীপুর থানায় অভিযোগ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু পুলিশ বলছে, এটা শ্রীপুর থানার অন্তর্ভুক্ত নয়, এটা টাঙ্গাইলের সখীপুর থানা। অথচ গতকাল রাতে ধর্ষকদের সহায়তাকারী শরীরফুলসহ এলাকার স্থানীয় কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। তখন শরীফুলসহ এলাকাবাসী জানায় ঘটনাস্থলটি নিজ মাওনা গ্রামে অবস্থিত। গুগল ম্যাপেও নিজ মাওনা গ্রাম দেখিয়েছে। কিন্তু ওসি স্যার বলছেন, এটি টাঙ্গাইলের সখীপুর থানা।
গত শুক্রবার (১৮ মার্চ) ১১ টায় উপজেলার নিজ মাওনা গ্রামে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ভিকটিম ও ধর্ষণে সহায়তাকারী শরীফের বক্তব্যমতে যারা গণধর্ষণ করেছেন তারা হলেন, নিজ মাওনা গ্রামের নাজমুল (২১) ও ফজু মিয়ার সন্তান এরশাদ (২৬)। যারা গণধর্ষণে সহায়তা করছেন তারা হলেন, শ্রীপুর উপজেলার সিংদিঘী গ্রামের রশীদের সন্তান রুপা (১৮)। নিজ মাওনা গ্রামের মনির হোসেনের সন্তান শরীফ (২০), একই গ্রামের হাবীবুর রহমান (২২) ও ইমরান হোসেন (২১)।
এ বিষয়ে সিংগারদিঘী গ্রামের লুৎফর ভূঁইয়া বলেন, ভিকটিমের পিতা গত দুইদিন যাবত থানায় গিয়েও অভিযোগ জমা দিতে পারেনি। পরিবারটি খুবই গরীব ও অসহায়। ভিকটিম ও ধর্ষণে সহায়তাকারী শরীফুলকে সাথে নিয়ে গতরাতে ধর্ষণের ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ওই জায়গার নাম নিজ মাওনা। টাঙ্গাইলের সীমানা ঘটনাস্থল থেকে আরও প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে। ঘটনাস্থল শ্রীপুরের নিজ মাওনা গ্রামে এটা শতভাগ সত্যি। ভিকটিমকে সাথে নিয়ে আমিসহ ভিকটিমের পিতা আজ থানায় গেলে ওসি স্যার আমাদেরকে বলেন, ঘটনাস্থল শ্রীপুর থানায় নয়। মামলাও নেননি তিনি।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, প্রথম দিনই আমি ঘটনাস্থলে তদন্ত কর্মকর্তাকে পাঠাই৷ ঘটনা ঘটেছে টাঙাইলে, শ্রীপুরে নয়। মেয়েটা এডাল্ট, সম্পর্ক করে দৈহিক সম্পর্ক করেছে। তবুও আমরা সখীপুর থানায় কথা বলে দেখছি।