সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিমের মানসিক অসুস্থাতার কারণে স্বজনরা তাকে রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নিয়ে যান।
সোমবার সকালে ভর্তি প্রক্রিয়া চলার মধ্যে হাসপাতালের কর্মীরা তাকে টেনেহিঁচড়ে একটি কক্ষে নিয়ে যান। সিসিটিভি ফুটেজে সেখানে তাকে শারীরিক নির্যাতনের দৃশ্যও দেখা যায়। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই মারা যান তিনি। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
ঘটনার পর হাসপাতালের আটজনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান আদাবর থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) ফারুক মোল্লা।
নিহত আনিসুল করিম বরিশাল মহানগর ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনারের পদে ছিলেন। তার বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সনমানিয়া ইউনিয়নের কালিয়াব গ্রামে। তিনি এক সন্তানের জনক। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। আনিসুল করিম ৩১তম বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান।
ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে সজল জানান, সহকারী কমিশনার আনিসুল করিমকে কয়েকজন মিলে চিকিৎসার নামে এলোপাতাড়ি মারধর করে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এদিকে হাসপাতাল থেকে পুলিশ যে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে উদ্ধার করেছে, সেটিতে দেখা গেছে, আনিসুল করিমকে সাত জন ব্যক্তি ধরে টেনে হেঁচড়ে একটি কক্ষে ঢুকাচ্ছে। এরপর তাকে ফেলে তিন জন তার পিঠের উপরে, দুজন পায়ের ওপরে এবং দুই জন হাত ধরে বেঁধে ফেলে। দুই জন কনুই দিয়ে তার পিঠ ও ঘাড়ে আঘাত করছে।
মারধরের কয়েক সেকেন্ড পর অচেতন হয়ে পড়েন আনিসুল। তারপর তার মুখে পানি ছিটানো হয়, এই সময় মেঝেতে পানি দিয়ে কিছু একটা মুছতেও দেখা যায়। এর কিছুক্ষণ পর অ্যাপ্রন পরা দুই জন নারীকে তার বুকে পাঞ্চ করতে দেখা যায়।