সেক্যুলারিজম নিয়ে একটা মারাত্মক ভুল ধারণা হচ্ছে, এটা কেবলি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রের মধ্যকার বিভাজন এবং এর পরিসর কেবলমাত্র রাজনীতি এবং অর্থনীতিতেই সীমাবদ্ধ। অথচ সেক্যুলারিজম হচ্ছে, একটা বিস্তীর্ণ/সামগ্রিক বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি যা বাস্তবতার (reality) সকল পর্যায়ে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কর্মকৌশলের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে বিরাজমান। [১]
সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী পরম সত্ত্বা হিসেবে খোদার ধারণাকে খারিজ করে দেয়া কিংবা গুরুত্বহীন করে দেওয়া এবং তাঁর স্থানে মানুষকে বিশ্ব চরাচরের কেন্দ্রীয় অধিকর্তা (Logos) হিসেবে বসিয়ে দেয়াই হচ্ছে সেক্যুলার দৃষ্টিভঙ্গির মূলকথা। [২] আর এর ফলে মানুষের কাছে তার দুনিয়া আবর্তিত হয় নিজকে [self] কেন্দ্র করে। আর এ দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আলোকায়ন প্রকল্প (enlightenment project) ও আধুনিকতার (modernity) যুক্তিবাদ ও বিজ্ঞানের কর্তৃত্ব ধারণার মাধ্যমে। এই যুক্তিবাদ ও বিজ্ঞানবাদীতার ধারণা আমাদেরকে যে কোন অতীন্দ্রীয়/এলাহি বাস্তবতাকে অস্বীকার করতে শেখায়— যা ধীরে ধীরে একসময় (অন্তত প্রায়োগিক ক্ষেত্রে হলেও) আমাদের ভেতরে খোদা/খোদায়ী ধারণার মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে।
অনেক পন্ডিতের (scholar) মতে, সেক্যুলারাইজেশন একটা প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া যেখানে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রত্যাখ্যান এবং এর সামাজিক প্রভাবকে নাই করে দেয়া দেয়া হয়। [৩] তবে Herbert Spencer এবং Parsons বলছেন যে, সেক্যুলারাইজেশনের যে প্রক্রিয়া তা কেবলমাত্র দর্শন-চিন্তা ও সমাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলোনা, বরং এই প্রক্রিয়ায় য়্যুরোপিয়ান মনন এবং জ্ঞানকান্ডসমূহের সেক্যুলারাইজেশনও অন্তর্ভূক্ত ছিলো। [৪]
অর্থ্যাৎ, সেক্যুলারাইজেশনের ফলে মানুষ কেবল গণপরিসরেই (public sphere) ধর্মের ব্যাপারে উদাসীন হয়ে ওঠে ব্যাপারটা তা নয়; বরং সেক্যুলারিজম মানুষকে তার চিন্তা ও মননের জায়গাতেও ধর্মহীন করে ফেলে বা ধর্মের প্রভাবকে নাই করে দেয়, ফলে মানুষ অতীন্দ্রীয়-খোদায়ী ব্যাপারগুলোকে প্রশ্নাতীতভাবে মেনে নিতে পারেনা। আর এটা তখনো ঘটতে পারে, যখন মানুষ কোন নিয়মিত ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করে যাচ্ছে; কারণ সেক্যুলারাইজেশন প্রক্রিয়া সমাজ থেকে সরাসরি ধর্মকে বিদায় করে দেয়না, বরং তা মানুষের ব্যক্তিগত ধর্মীয় আচারগুলোকে ধরাবাঁধা রুটিনে পরিনত করে ফেলে। [৫] ফলে মানুষ ‘ধর্ম-কর্ম’ করার পরেও চিন্তায়-মননে সেক্যুলার থেকে যায়।
এই যে ধার্মিক সেক্যুলারের চিন্তা ও মনন হয় যুক্তিবাদ দ্বারা প্রভাবিত, তার খোদা হয়ে ওঠে মানুষ তথা বিজ্ঞান। ফলে সে তার মন যুক্তি ও ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যের বিপরীতে কোন ব্যাপারই মেনে নিতে পারেনা। ফলে একজন নিখাঁদ মুসলমান যেখানে আল্লাহর পক্ষ যেকোন কারামত বা অতিন্দ্রীয় ব্যাপারকে খোদায়ী ফয়সালা হিসেবে নির্দ্বিধায় মেনে নেয়, সেখানে সেক্যুলার মুসলমান সেটাকে বিজ্ঞান/যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করে। আর যদি সে এই এলাহী ঘটনাকে যুক্তি ব্যাখ্যা না করতে পারে তাহলে সে ভেতরে ভেতরে অস্থির হয়ে ওঠে। যুক্তি এবং বিশ্বাসের অসহ্য এক দোলাচলে সে ভুগতে থাকে, যতক্ষণ না সে একটাকে আরেকটার জন্য ছেড়ে দেয়; কারণ আধুনিকতার ধারণায় যুক্তি ও বিশ্বাসের সহাবস্থান সম্ভব নয়।
এ সেক্যুলার মুসলমানরা সবসময় কৈফিয়তবাদী হয় এবং হীনমন্যতায় ভুগে। সে ইসলামের এ বিধান মেনে নিতে পারেনা, ইতিহাসের ওই ঘটনাকে স্বীকার করতে সাহস করেনা। আর তাদের এ হীনমন্যতার পালে হাওয়া দেয় আধুনিকতার বাই-প্রোডাক্ট হিসেবে হাযির হওয়া অস্থিরতা এবং ক্রমবর্ধমান অকর্মণ্যতার বোধ। আধুনিক মানুষের থাকে একজন পূর্নাঙ্গ মানুষ হওয়ার বাসনা- যে মানুষ বস্তুবাদী অর্থে একাই সবকিছু করে ফেলার/অর্জনের ক্ষমতা রাখে; কিন্তু সে যন্ত্রবাদী এ সভ্যতায় প্রযুক্তিগত উন্নয়নের শিখরে বসেও যখন সবকিছু অর্জন করতে পারেনা— তখন এই বস্তুবাদী বাসনার অপূর্ণাঙ্গতা তার ভেতরে হতাশার জন্ম দেয়।
আধুনিকতা ও সেক্যুলারাইজেশন প্রক্রিয়ার আরেকটা বাই-প্রোডাক্ট হলো, মানুষের নৈতিকতার বোঝাপড়ার পরিবর্তন। মানুষের কোন খোদায়ী প্রতীতি না থাকার ফলে নৈতিকতা হয়ে ওঠে খুবই আপেক্ষিক এবং ব্যক্তিকেন্দ্রিক, যেখানে ভালো এবং মন্দের ধারনা নিছক মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দের উপর নির্ভর করে। [৬] যেহেতু মানুষ খোদায়ী-অতীন্দ্রিয় কোন অস্তিত্বের বন্ধন থেকে নিজেকে মুক্তি দেয়ার মাধ্যমে নিজেই নিজেকে বিশ্ব চরাচরের অধিকর্তা (Logos) হিসেবে বসিয়ে দেয়, ফলে আধুনিক নৈতিকতার ধারনাও নিজস্বতার ধারণার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে। [৭] নিজের ভালো মন্দ-মন্দের বাসনাই তার নৈতিকতাকে চালিত করে।
কিছুদিন ধরে অনেক ইসলামপন্থী, বিশেষ করে সাবেক ইসলামপন্থীদের (বার্নআউট) মধ্যে এই ব্যক্তিকেন্দ্রিক যুক্তিবাদীতা, ফৈফিয়তমূলক মনোভাব, বিশ্বাস-যুক্তির দোটানাসৃষ্ট হীনমন্যতা, অস্থিরতা এবং নৈতিকতার অধপতন খুব স্পষ্টভাবে চোখে পড়ছে। এরা যে কেবল খোদায়ী বাস্তবতার ব্যাপারেই সংশয়-সন্দেহ প্রকাশ করছে— ব্যাপারটা তা নয়। বরং নিজেদের হীনমন্যতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা থেকে সৃষ্ট এদের স্যুডো-শ্রেষ্ঠত্বের ভাবনার (নিজের অস্তিত্বের প্রয়োজনে এটাই হয় এদের কোপিং মেকানিজম) ফলে নৈতিকতা বোধের মাথা খেয়ে এরা খোদায়ী-বাস্তবতায় বিশ্বাসী মানুষজনকে নিয়ে হাসাহাসি থেকে শুরু করে নোংরা ব্যক্তি-আক্রমণ কিছুই বাদ দিচ্ছেনা। (অথচ এরাই সুযোগ পেলে আবার বিশ্বাস-চিন্তার ‘স্বাধীনতার’ কথা বলে বেড়ায়।)
যেমন ধরেন, করোনা আল্লাহর পক্ষ থেকে একটা আযাব— যুক্তিবাদের ভূত মাথায় ভর করা এবং সেক্যুলার মননের অধিকারী এদের জন্য এ কথা স্বীকার করার চেয়ে নিজের মৃত্যু স্বীকার করে নেয়া তাদের কাছে সহজ। তবে ব্যাপারটা সমস্যাজনক ছিলোনা, যদি তা কেবল বিশ্বাস-অবিশ্বাস অথবা স্বীকার-অস্বীকারে থেমে থাকতো। কিন্তু তারা এ ব্যাপারগুলোকে কেন্দ্র করে বিশ্বাসী মুসলমানদের নিয়ে ট্রলবাজি শুরু করেছে। অথচ এই যুক্তিবাদী-প্রমাণবাদীরা এটা চিন্তাও করছেনা যে, তারা যে বক্তব্যের জন্য হাসাহাসি করছে— তার সত্যতা বা অকার্যকরিতা তাদের যুক্তিবাদের নিরীখে বা এম্পিরিক্যালি প্রমাণ করা অসম্ভব; বরং দিনশেষে এটা কেবলই কনভিকশনের প্রশ্ন, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ব্যাপার।
সাবেক ইসলামপন্থী এ ভাইদের এই ট্রলবাজিতার আরেকটা অন্যতম কারণ হলো, নৈতিকতাহীন এ ট্রলবাজিতাই আসলে তাদেরকে এক ধরনের ভুয়া স্বস্তি-আনন্দের স্বাদ দেয়, যার ফলে সে তার হীনমন্যতা, অকর্মণ্যবাতা ও বস্তুবাদী হতাশকাকে খানিকের জন্য ভুলে থাকতে পারে।
কয়েকদিন আগের একটা লেখায় যেটা লিখেছিলাম যে, এ সাবেক ইসলাম্পন্থীরা ভাইদের এ পরিণতির পেছনে দায়ি হলো, তাদের ইসলামপন্থী হওয়ার পেছনে ইসলামী ঐতিহ্যের প্রতি নিজেদের কোন কনভিকশন না থাকা এবং ইসলামপন্থার মুখোশে তাদের জন্য সেট করে দেয়া বস্তুবাদী গোল অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার হতাশা। ইসলামপন্থার নামে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের লক্ষ্য যদি বস্তুবাদী কোন অর্জনকে কেন্দ্র করে নির্ধারিত হয়, তাহলে এই লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার মানে তাদের ভেতরে আবশ্যিক হতাশার জন্ম নেয়া— যা পরবর্তীতে তাদের বার্নআউট হওয়ার পথ সুগম করে।
বস্তুবাদী লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হওয়া এ তরুণ বা মধ্যবয়সীরা এমনিতেই প্রতিক্রিয়াশীল এক ধরনের রাজনৈতিক চর্চার মধ্য দিয়ে এই অবস্থানে পৌঁছায়। একইসাথে নিজস্ব ঐতিহ্যে প্রোথিত কোন দৃঢ় বিশ্বাস না থাকার ফলে এদের আইডেন্টিটি হয় অনেক লিকুইড। ফলে কোন এক মতে/পথে এরা বেশিদিন স্থির থাকতে পারেনা এবং অন্যদের কারণ-অকারণ সমালোচনা এদের স্বভাবে পরিণত হয়।
সাবেক ইসলামপন্থীদের আরেকটা সমস্যা হচ্ছে, তাকওয়ার অভাব— যা আবার ঐ নৈতিকতার পরিবর্তিত ব্যক্তিকেন্দ্রিক বোঝাপড়া থেকে উদ্ভুত। সমালোচনার মানসিকতা স্বাভাবিকভাবেই এদেরকে অনেক এরোগ্যান্ট করে তুলে। আধুনিকতাবাদী মনন ও নৈতিকতা বিবর্জিত এরোগ্যান্সের ফলে এরা সবসময়ই যে কোন ধরনের অথোরিটি বা কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করতে অভ্যস্ত। এদের অতীত রাজনৈতিক ব্যর্থতা বা রাজনৈতিক অতীতের ছ্যাঁকাও আসলে এদের তাকওয়া-নৈতিকতা বিবর্জিত এরোগ্যান্সের দিকে ঠেলে দেয়। এরা বাইরে বাইরে চিন্তায় খুবই সংস্কারবাদী, কিন্তু ভেতরে ভেতরে খুবই সংশয়বাদী হয়ে থাকে।
ফলে দেখা যায় কোন নিজস্ব ক্ষেত্রে কোন একজন পন্ডিত বা আলেমের সুক্ষ্ম কোন ভুল (বা বেশিরভাগক্ষেত্রেই এমনসব বক্তব্য— যা বিশ্বাসের সাথে সম্পৃক্ত এবং যুক্তিবাদীতার নিরিখে মিমাংসা সম্ভব নয়) নিয়ে তাদের পুরো কর্তৃত্বকে খারিজ করে দিতে চায়, যদিও এ ভাইদের সে ফিল্ড নিয়ে মাধ্যমিক মানের বোঝাপড়া নাই। ইসলাম নিয়ে এদের এদের বোঝাপড়ার দৌড় দেখা যায় বড়লোকের ছিপারা মৌলবির কথা বা ফেইসবুক স্ট্যাটাস দ্বারা প্রভাবিত।
অথচ আলেমদেরকে ফেরেশতা বানানো [এবং এইভাবে তাদের পান থেকে চুন খসলেই পুরা হুজুর জাত, পর্যায়ক্রমে মুসলমানদের অচ্ছুত ঘোষণা দেওয়া], কিন্তু বাকি না-হুজুরদেরকে “নরমাল” মানুষ বানাইতে চাওয়া [সুতরাং এরা অন্যায় করতেই পারে] হচ্ছে, একবিংশ শতাব্দীর তাগুতী ও শিরকী dehumanization প্রকল্পেরই একটা রূপ। এটা অপশ্চিমা মুসলমান কোন সমাজের মূল্যবোধ ও সাংস্কৃতিক বোঝাপড়াকে খারিজ করে দিয়ে সেখানে বস্তুবাদী-যুক্তিবাদী বর্ণবাদী য়্যুরোপিয়ান সাংস্কৃতিক প্রকল্পকে ধীরে স্বাভাবিকরণের পথ হাযির করে।
একটা সমাজ তার নিজস্ব মূল্যবোধ, সাংস্কৃতিক বোঝাপড়া, ইতিহাস-ঐতিহ্য, পুরান-সামগ্রিক স্মৃতি (collective memory) এসবের সমন্বয়ে বিকশিত হয় এবং এর আলোকেই নিজেদের ভবিষ্যতের গতিপথ নির্মাণ করে। সমাজের সম্প্রীতি ও পারস্পারিক সহযোগিতামূলক সহাবস্থানের প্রক্রিয়া এভাবেই বেঁচে থাকে। আপনি য়্যুওরোপিয়ান বর্ণবাদী ও আলোকায়ন প্রকল্পের বোঝাপড়ার বাইরে গিয়ে চিন্তা করলে অন্য কোন সমাজের নিজস্ব মূল্যবোধ এবং সাংস্কৃতিক বোঝাপড়াকে খারিজ করে দিতে পারেন না।
প্রশ্ন ওঠতে পারে যে, কোন আলেম যখন তার ফিল্ডের বাইরে গিয়ে ভুল-ভাল কোন বক্তব্য বলে তখন তার সমালোচনা করা যাবে কিনা? প্রত্যেকটা ভুলের সমালোচনা অবশ্যই হওয়া উচিত, কিন্তু সেটা হতে হবে ওই ফিল্ডে থেকে ইলমি পরিবেশে এবং আদবের সাথে, ট্রল বা গালাগালির মাধ্যমে নয়।
দ্বিতীয়ত যে বিষয়টি আমাদের মাথায় নেয়া উচিত সেটা হচ্ছে, আলেমদের বক্তব্য সমাজে বিদ্যমান সামাজিক কাঠামো, মূল্যবোধ বা সাংস্কৃতিক বোঝাপড়ায় কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে কি না! বাস্তবতা হচ্ছে, বিজ্ঞান বা অন্যান্য বিষয় নিয়ে আমাদের হুজুরদের বক্তব্য আমাদের সামাজিক ব্যবস্থা কিংবা সমাজের সাধারণ মানুষদের জন্য হুমকি/বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছেনা, এমনকি তাদের এসব বক্তব্য নিয়ে কারো সাধারণ জনতার কোন মাথাব্যাথ্যা নেই। কিন্তু আমরা এসব মেনে নিতে পারিনা কিংবা আমাদের কাছে তা খুবই সমস্যাজনক হয়ে দাঁড়ায় আমাদের আধুনিকতাবাদী-যুক্তিবাদী মননের কারণে।
সেক্যুলারাইজেশনের পথ ধরে মননের এই যুক্তিবাদী হয়ে ওঠার সমস্যা আমাদের সমাজের বিদ্যমান কাঠামোকে একধরনের উভয় সংকটে ফেলে দিচ্ছে। বিজ্ঞান নিয়ে হুজুরদের অপেশাদারী বক্তব্যও আসলে এ যুক্তিবাদী বোঝাপড়ার প্রভাব থেকে উদ্ভুত, তারাও আসলে এ বৈপরীত্যে আটকে যাচ্ছেম। এ সমস্যাটা আসলে দিনদিন আমাদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়াচ্ছে, আর সাবেক ইসলামপন্থী ভাইদের হুজুর বিদ্বেষ সেই কেবল আগুনে ঘি-ই ঢালছে— যা সমাজের ধর্মীয় মূল্যবোধের ধারণাকে হুমকির মুখে ফেলছে।
তথ্যসূত্রঃ
১. Heba Raouf Ezzat, Secularism, The State and The Social Bond.
২. Peter Glasner, The Sociology of Secularisation: A Critique of a Concept
৩. Michael Hill, A Sociology of Religion
৪. Susan Budd, Sociologists and Religion.
৫. Michael Hill, A Sociology of Religion.
৬. Heba Raouf Ezzat, Secularism, The State and The Social Bond.
৭. Charles Taylor, Sources of the Self: The Making of the Modern Identity.