সেই ওমান আর এই ওমান কি এক
Advertisements

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে গেছে বাংলাদেশ। এতে প্রতিযোগিতার মূলপর্বে ওঠার সমীকরণটাই কঠিন হয়ে গেছে বাংলাদেশের জন্য। মূলপর্বে খেলতে হলে গ্রুপপর্বের পরবর্তী দুই ম্যাচ ওমান ও পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে জয়ের কোনও বিকল্প নেই।

এদিকে, এসব ম্যাচে শুধু জয় পেলেই হবে না, রান রেটেও অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকতে হবে টাইগারদের। তাহলেই বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার টিকিট পাবে বাংলাদেশ। এমতাবস্থায় বাঁচা মরার এই লড়াইয়ে আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ওমানের মুখোমুখি হচ্ছে টাইগাররা। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত ৮টায় মাঠে গড়াবে এই ম্যাচ।

ওমানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ একবারই মুখোমুখি হয়েছিল। তাও ৫ বছর আগে ২০১৬ সালে। ভারতের হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালা স্টেডিয়ামে তামিম ইকবালের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ১৮০ রান করেছিল। এরপর বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে জয় পেয়েছিল ৫৪ রানে।

তবে পাঁচ বছর আগের ওমান দল আর এখনকার দলের মধ্যে পার্থক্য অনেক। আগের চেয়ে তারা এখন অনেক পরিণত ও প্রমাণিত দল।

বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে তার প্রমাণও দিয়েছে দলটি। পাপুয়া নিউ গিনি প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১২৯ রানের লক্ষ্য দেয়। জবাবে কোনও উইকেট না হারিয়েই ১৩.৩ ওভারে ১৩১ রান করে জয় নিশ্চিত করে ওমান।

এদিকে, ওমানের ডানহাতি ব্যাটসম্যান খাওয়ার আলী বলেছেন, “দেখুন ২০১৬ বিশ্বকাপে হারের ঘটনা কিন্তু পাঁচ বছর আগের কথা। ওই সময় আমরা ভিন্ন দল ছিলাম। গেল পাঁচ বছরে আমরা অনেকটা বদলে গিয়েছি। নিজেদের অন্যভাবে প্রমাণ করেছি। অবশ্যই এখন আমরা অনেকটা প্রমাণিত ও পরিণত দল। এখন আমরা যেকোনও দলের সঙ্গে লড়াই করার মতো উপযুক্ত। অবশ্যই আমরা বাংলাদেশের বিপক্ষের ম্যাচকে শক্তভাবে নিচ্ছি। এখানে ভালো করতে হবে জানি। কারণ, এই ম্যাচে জয় আমাদের মূলপর্বের পথ সহজ করতে পারে।”

বাংলাদেশের বিপক্ষের ম্যাচ নিয়ে তাদের পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, “শেষ ম্যাচে আমাদের পরিকল্পনা একরকম ছিল। আমরা আগে বোলিং পেয়ে সুযোগটা ভালভাবে কাজে লাগাই। এবার কিন্তু একই পরিকল্পনা হবে না। আমরা উইকেট দেখে সিদ্ধান্ত নিব।”

Advertisements