আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সরকারের সড়ক-সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির যে বিষবৃক্ষ ডালপালা বিস্তার করেছে, সেই বিষবৃক্ষকে সমূলে উৎপাটন করা এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করা-এবারের বিজয় দিবসের অঙ্গীকার ।
মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৪৯তম বার্ষিকীতে বুধবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে দলের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একদিকে ৪৭-এর চেতনা, অন্যদিকে ৭১-এর চেতনা। একদিকে সাম্প্রদায়িকতা, আরেকদিকে অসাম্প্রদায়িকতা। আজকে আমাদের এই দুটি ধারা চলছে। আজকের শপথ হবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির যে বিষবৃক্ষ ডালপালা বিস্তার করেছে, সেই বিষবৃক্ষকে সমূলে উৎপাটন করা এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করা।’
হেফাজতসহ ধর্মীয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুও পাকিস্তানিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, তারা কি চেয়েছিলেন? তাদের সঙ্গে বৈঠকটা করা হয়েছে, কারণ আমরা জানতে চাই তারা কী চান। আমাদের যে শপথ, আমাদের যে আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, স্বাধীনতার আদর্শ, এই প্রশ্নে আমরা কোনো আপস করব না। সেটাও আমরা তাদের জানিয়ে দিতে পারি।’ এ সময় দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ছিলেন।
এর আগে জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান। এরপর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানান তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল আহমদ চৌধুরী।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর জাতীয় সংসদের স্পিকারের পক্ষ থেকে এবং তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর পরপরই জনসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এবার স্মৃতিসৌধের পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে আগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।