গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।সন্ধ্যা নামলেই ছিনতাইকারীদের দখলে থাকে টঙ্গী। টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পথচারীর প্রাণও কেড়ে নিচ্ছে তারা। কিন্তু শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারায় দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে এসব ছিনতাইকারী চক্র। প্রায় প্রতিদিনই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে টঙ্গীতে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এসব ঘটনায় থানায় মামলাও হয়। কিন্তু এসব মামলার তদন্তে গুরুত্ব না দেওয়ায় পার পেয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। টঙ্গীতে গত আট বছরে ছিনতাইকারীর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ১৬ জন।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, টঙ্গী শিল্প নগরী এখন ছিনতাইকারীদের দখলে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেই শুরু হয় তাদের তৎপরতা। একটি চক্র বহিরাগত ছিনতাইকারীদের ভাড়া করে এনে টঙ্গীতে ছিনতাইকাজে ব্যবহার করেন। গত সোমবার রাতে টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন চেরাগ আলী কাদেরিয়া টেক্সটাইলস মিলসের সামনে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে জাহিদুল ইসলাম জাহিদ নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। এছাড়া টঙ্গী নতুন বাজার এলাকায় এক ওষুধ কোম্পানীর কর্মকর্তা সর্বস্ব লুটে নেন ছিনতাইকারীরা। এভাবে প্রতিরাতে কোন না কোন এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানাধীন এলাকায় বেশ কয়েকটি ছিনতাই স্পটের মধ্যে আব্দুল্লাপুর ব্রিজের উত্তর পাশে, বাটা গেট, নতুন বাজার রেল গেইট, ৪৬নং ওয়ার্ড হকের মোড়, আমতলি, নিমতলী, তিস্তার গেইট, বউবাজার রেল গেইট, বনমালা রেলে গেইট, টঙ্গী সফিউদ্দিন রোড, আরিচপুর নদী বন্দর, গাজীপুরা বাশপট্রি, মধুমিতা রেললাইন, প্রত্যাশার মাঠ, টঙ্গী রেলওয়ে জংশনসহ ২০-২৫টি গুরুত্বপূর্নস্থানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। পুলিশি ঝামেলার জন্য অনেকেই থানায় যান না।
এ বিষয়ে টঙ্গী বাজার এলাকার এক ব্যবসায়ী শাহীন বলেন, প্রতিদিন ভোররাতে আব্দুল্লাপুর ব্রিজ পার হলেই গাড়ি কিংবা রিকসার পথরোধ করে যাত্রীদের সর্বস্ব ছিনিয়ে নিচ্ছে ছিনতাইকারীরা।
এ ব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি শাহআলম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সম্প্রতি শাতাইশ ধরপাড়া এলাকা থেকে চিহিৃত ছিনতাইকারী বুককাটা বাবুসহ বেশ কয়েজনকে গ্রেফতার কার হয়েছে। ছিনতাইরোধে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।