গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় আট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বুধবার (৫ জানুয়ারি) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুইটি ইউনিয়নে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনায় ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে পুলিশ।
বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত কাওরাইদ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের (বালিকা বিদ্যালয়) নারী ভোটকেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। বেলা সাড়ে এগারোটা থেকে ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়।
কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী (স্বতন্ত্র-আনারস) ড. এ কে এম রিপন আনসারি বলেন, “পুলিশি প্রহরায় কেন্দ্র দখল,ব্যালট পেপার লুট, সংঘর্ষ ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। ব্যালট বাক্স উদ্ধার অথবা পুনরায় ভোটের দাবী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের”।
এদিকে রাজাবাড়ী ইউনিয়নের ধলাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও ধলাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা এবং আনারস প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দুপর সাড়ে ১২টার দিকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই সময় নারী ভোট কেন্দ্রের কয়েকটি বুথ থেকে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাই এবং দুই ইউপি মেম্বার প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে বিজিবি ও পুলিশ লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না রহমান জুথী জানিয়েছেন, যেসব ব্যালট পেপার সিল দিয়ে বাক্সে ঢোকানো হয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব। কারণ সেগুলোর পেছনে প্রিসাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর বা সিল নেই।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজাবাড়ী ইউনিয়নের ধলাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও ধলাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা এবং আনারস প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় নারী ভোট কেন্দ্রের কয়েকটি বুথ থেকে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ধলাদিয়া হাইস্কুল কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. আসাদুজ্জামান জানান, একদল বহিরাগত লোক কয়েকটি ব্যালট বই ছিনিয়ে নেয়। পরে ভোট গ্রহণ প্রায় এক ঘণ্টা স্থগিত ছিল।
জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করে বলেন, আমাদের কাছে ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। দুষ্কৃতিকারীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।