বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে ঢাকা আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দিল্লিতে এক সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। খবরটি প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন,”আমরা নিশ্চিত করছি যে, আমরা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে একটি নোট পেয়েছি। তবে এর বাইরে আমাদের কাছে আর কোনো বাড়তি তথ্য নেই।”
এর আগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কূটনৈতিক বার্তা পাঠিয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। আজকের এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে সেই বার্তা প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত হলো।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার এই দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে ১৬ বছরের শাসনের সমাপ্তি ঘটে। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধসহ একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা, তার মন্ত্রিসভার সদস্য, উপদেষ্টা এবং বেশ কয়েকজন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
একই ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অন্যান্য পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন ভারতের মুখপাত্র। বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুরের বিষয়ে তিনি বলেন,
“আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলছি। বাংলাদেশে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের সুষ্ঠু বিচারের সুযোগ পাওয়া উচিত। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ এবং বাংলাদেশের বিচারিক প্রক্রিয়া নিয়ে ভারতের অবস্থান পরিস্থিতিকে নতুন মাত্রা দিচ্ছে। বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আলোচিত হতে পারে।