মামলা চলমান সত্বেও গ্রাম্য সালিশ মেম্বারের সামনে শিশুকে পিটিয়ে হত্যা
Advertisements

গাজীপুরের শ্রীপুরে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে গ্রাম্য শালিস চলাকালীন সময় দুপক্ষে সংঘর্ষ বাঁধে, এ সময় মায়ের কোলে থাকা শিশু ফাতিহাকে পিটিয়েছিল আপন চাচা মুক্তার। এরপর-ই মৃত্যু হয় ফাতিহার। এ ঘটনায় ফাতিহার পিতা ও মূল হোতা চাচাসহ বেশ কয়েকজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ওসি। এর আগের দিন বুধবার দুপুরে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের হয়দেবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশু ফাতিহা (২) কাওরাইদ ইউনিয়নের হয়দেবপুর গ্রামের মোঃ সাত্তারের সন্তান। আহতরা হলেন, উপজেলার হয়দেবপুর গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে আব্দুস সাত্তার (৪০) তার স্ত্রী মোছাঃ কুলসুম (২৪) ঘটনার সাথে সাথে সামাজিক যোগাযোগ (ফেসবুক) এর মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায় মায়ের কোলে থাকা শিশু ফাতিহাকে তার আপন চাচা মোঃ মুক্তার হোসেন লাঠি দিয়ে মাথায় একাধিক আঘাত করে। এতে শিশু ফাতিহা মারাত্মক ভাবে আহত হয়। আহত অবস্থায় ঐ শিশুকে চিকিৎসার জন্য শ্রীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। ভিডিওর উপর ভিত্তি করে ওইদিন রাতে শ্রীপুর মডেল থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুর পিতা ও চাচাসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে।

দির্ঘদিন যাবৎ উভয় পক্ষে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো। ওইদিন ৫ নং স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আবদুস সামাদ ও ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মুমিনুল হক স্থানীয় ব্যক্তিদেরকে নিয়ে গ্রাম্য শালিসে বসেন। শালিসের মাঝামাঝি অবস্থায় দুই-পক্ষের মাঝে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে হাতাহাতি শুরু হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নিহতের চাচা মোঃ মুক্তার মিয়া প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তার বাড়িতে গিয়ে নিজের বড় ভাই মোঃ সাত্তার মিয়ার ২ বছর বয়সের শিশুর মাথায় আঘাত করে, পরে তার মৃত্যু ঘটে।

কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মমিনুল কাদের বলেন, দুই পক্ষের লোকজন নিয়ে সালিশে কথাবার্তা হচ্ছিল। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। আমরা তাদের কে থামিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর তাদের মাঝে আবার সংঘর্ষ শুরু হয় এতে তিনজন গুরুতর আহত হলে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।

শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল ফজল মোঃ নাসিম বলেন, এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। অধিকতর তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম পরে প্রকাশ করা হবে।

Advertisements