রোনালদোর জোড়া গোলে ইউরো কাপে শুভসূচনা পর্তুগালের
Advertisements

ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর জোড়া গোলে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা ধরে রাখার অভিযান শুরু করল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল।

হাঙ্গেরির মাঠ ফেরেঙ্ক পুসকাস স্টেডিয়ামে ৬০ হাজার দর্শকের সামনে শুরু থেকে বলের দখল হোক বা গোলের সুযোগ, দুই দিক থেকেই এগিয়ে ছিল পর্তুগাল। প্রথমার্ধে বেশ কিছু সুযোগও পেয়েছিল। যদি হাঙ্গেরি গোলরক্ষক পিটার গুলাশি অতিমানব হয়ে না দাঁড়াতেন, যদি রোনালদো নিজে সেরা সুযোগটা না মারতেন লক্ষ্যের অনেক বাইরে দিয়ে, তাহলে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যেতে পারত বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

কিন্তু হয়নি, ওই যে, হাঙ্গেরিয় গোলরক্ষক গুলাশি যে হয়ে উঠেছিলেন অতিমানব! ৫ আর ৪০ মিনিটে ডিয়েগো জোটার দুটো দুর্দান্ত শট ঠেকিয়ে হাঙ্গেরিকে পিছিয়ে পড়া থেকে রক্ষা করেন তিনি। ৪৩ মিনিটে রোনালদোর কাছেও এসেছিল সুযোগ। কিন্তু জোটার ক্রসে শটটা লক্ষ্যেই রাখতে পারেননি তিনি।

বিরতিতে দুই দল গেল গোলখরা নিয়ে। ফিরে এসেও দেখা মিলল একই চিত্রের; সেই পর্তুগিজ আধিপত্য, সেই অতিমানব গুলাশি। ৪৭ মিনিটে ব্রুনো ফের্নান্দেজের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে পর্তুগালকে গোলটা প্রায় এনেই দিচ্ছিলেন পেপে, কিন্তু হাঙ্গেরি গোলরক্ষকের কাছে এসে শেষ হলো সে চেষ্টা।

মিনিট দশেক পর দারুণ এক সেভ দেখা গেল অন্য অর্ধেও, আত্তিয়া সালাইয়ের শট ঠেকান রুই প্যাট্রিশিও। ৬৮ মিনিটে আরও একটা না হলে পর্তুগাল পিছিয়েই যেতে পারত।

৮০ মিনিটে ‘এগিয়েই’ গিয়েছিল হাঙ্গেরি, কিন্তু বেরসিক লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা তুলে বসলে বিরস বদনে ফিরতে হয় স্বাগতিকদের। এতক্ষণ কিছুটা খোলসে ঢুকে যাওয়া পর্তুগাল হাফ ছেড়ে বাঁচে এরপর। রাফায়েল গেরেরোর বক্সের ভেতর থেকে করা শট হাঙ্গেরি রক্ষণে লেগে দিক বদলে জড়ায় জালে, স্বাগতিকদের ৮৪ মিনিটের দাঁতে দাঁত চাপা প্রতিরোধ ভেস্তে যায় তাতে।

এর মিনিট চারেক পর পেনাল্টি যায় পর্তুগালের পক্ষে। আগুনে শটে গোলটা করে রোনালদো বনে যান ইউরোর ইতিহাসে ১০ গোল করা প্রথম খেলোয়াড়।

ম্যাচের অনিশ্চয়তা শেষ হয়ে গিয়েছিল তখনই, কিন্তু রোনালদো সেখানেই থামেননি। শেষ বাঁশির ঠিক আগে করলেন আরেকটি গোল। সতীর্থ রাফা সিলভার সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান তিনি। তাকেও কাটিয়ে ফাঁকা পোস্টে গোলটা করেন। তাতে শুরুর অনিশ্চয়তা কাটিয়ে পর্তুগাল মাঠ ছাড়ে ৩-০ গোলে জয়ের তৃপ্তি নিয়ে।#

পার্সটুডে

Advertisements