মার্কিন উপস্থিতি আফগানিস্তানে গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ এনেছে
Advertisements

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়েদ ইবরাহিম রায়িসি বলেছেন, আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ২০ বছরের দখলদারিত্ব শুধুমাত্র ধ্বংসযজ্ঞ এবং গণহত্যা ডেকে এনেছে; ভালো কিছু দিতে পারে নি।

তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে অনুষ্ঠানরত সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনের অবকাশে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেছেন ইরানি প্রেসিডেন্ট।

তিনি বলেন, আফগানিস্তানে গত বিশ বছর ধরে আমেরিকা এবং পশ্চিমা দেশগুলোর যে সেন-উপস্থিতি ছিল তার ফলাফল হিসেবে ধ্বংসযজ্ঞ, লক্ষ লক্ষ মানুষের উদ্বাস্তু হওয়া এবং গণহত্যা ছাড়া ভালো কিছু আসে নি। মার্কিন অবৈধ দখলদারিত্বের কারণে আফগানিস্তানের হাজার হাজার নর-নারীর পাশাপাশি ৩৫ হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের মধ্যদিয়ে আফগান জনগণের সামনে জনপ্রিয় সরকার গঠন ও দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক সুযোগ এসেছে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও একই রকমের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, আফগানিস্তানের সমস্ত গোত্র এবং নৃ-গোষ্ঠীর অংশগ্রহণে একটি প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠনের প্রচেষ্টা জোরদার করা উচিত যা হবে দেশটির জনগণের ইচ্ছার ভিত্তিতে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আফগান সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে মৌলিক বিষয় হচ্ছে অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠন এবং দেশটির অভ্যন্তরে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ ঠেকানো।

বৈঠকে ইমরান খান বলেন, আফগানিস্তানে সাফল্যের সঙ্গে একটি অংশগ্রহনমূলক গঠন করতে ইরান ও পাকিস্তানকে অবশ্যই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, একটি নিরাপদ এবং স্থিতিশীল আফগানিস্তান আঞ্চলিক ও সারা বিশ্বের জন্য লাভজনক। তিনি আরো বলেন, আফগানিস্তানে যদি একটি অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠন করা না হয় তাহলে দেশটির জনগণের দুঃখ-দুর্দশা আরো বাড়বে এবং ইরান ও পাকিস্তান আগের চেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাবে।

পার্সটুডে

Advertisements