মাওনা চৌরাস্তায় সড়ক ও জনপদের জায়গা থেকে চাঁদাবাজি বন্ধ
Advertisements

সম্প্রতি শ্রীপুর পৌরসভার ইজারার কথা বলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তায় ফুটপাত থেকে রশিদ বিহীন চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠে। এর কিছুদিন পর সংবাদ প্রকাশের পরে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ জানালে চাঁদা তোলা বন্ধ হয়।

শনিবার ( ৮ মে ) স্বাধীন বাংলা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মনির হোসেন জানান, আমি প্রতিবাদ জানানোর পর আমার উপর চড়াও হয় মোরসালিন মামুনসহ তার লোকজন। পরে সংগঠনের পক্ষ থেকে ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ সম্মিলিত প্রতিবাদ জানালে (৫ মে) থেকে আজ পর্যন্ত চাঁদা তোলা বন্ধ রয়েছে। এতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মনে স্বস্থি বিরাজ করছে।

শ্রীপুর পৌর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ আসিফ জানান, শ্রীপুর পৌর কর্তৃপক্ষ মোটা অংকের ঘুষ গ্রহণ করে দুই বছর বন্ধ থাকা সড়ক ও জনপদের জায়গা ইজারা দিয়েছেন যা সম্পূর্ণ অবৈধ। গাজীপুর ৩ আসনের এমপি ইকবাল হোসেন সবুজ ভাইয়ের নির্দেশকে উপেক্ষা করে ইজারার নামে প্রকাশ্যে ফুটপাতে চাঁদাবাজি করছিল তারা। গত বুধবার ( ৫ মে ) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শ্রীপুর পৌর ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ও ৪ টি গ্রাম মহল্লা আওয়ামীলীগ এবং কমিউনিটি পুলিশের সদস্যবৃন্দ সম্মেলিতভাবে প্রতিবাদ জানাই। এরপর গত তিনদিন যাবৎ চাঁদাবাজি বন্ধ থাকায় ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা শান্তিমতো ব্যবসা করতে পারছে। পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি, ভবিষ্যতে পৌরসভার ইজারার নাম করে সড়ক ও জনপদের জায়গায় যেন চাঁদাবাজি না হয় সেদিকে সুদৃষ্টি দেবেন আশা করছি।

প্রসঙ্গত,চলতি মাসের (২ মে) এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একটি অনুসন্ধানী খবর প্রকাশ হয়। ওই খবর প্রকাশের পর স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের মধ্যে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। পরে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ। এরপর গত তিনদিন যাবৎ পৌরসভার নামে চাঁদা তোলা বন্ধ করে ইজারাদার দাবিদাররা।

Advertisements