Mahmudur Rahman
Advertisements

মজলুম দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান দেশে ফিরেছেন। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।

বিমানবন্দরে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা এ সংবর্ধনার আয়োজন করেছে বলে জানা গেছে।

অবতরণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শেখ হাসিনাকে উৎখাত করা সব বিপ্লবী শহীদের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিপ্লবী আইকন আবু সাঈদ। সাঈদসহ সব শহীদ আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। আমরা তাদের কখনো ভুলব না।

মাহমুদুর রহমান বলেন, এই ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ভারতের দালাল শেখ হাসিনার পতন হয়েছে।

যার ফলে ছয় বছর নির্বাসনে থাকার পর আমি মাতৃভূমিতে ফিরতে পেরেছি। আমাকে উদ্ভট ও মিথ্যা মামলায় সাত বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি।তার নামে আরো অনেক মিথ্যা মামলা আছে জানিয়ে বলেন, আমার মা গুরুতর অসুস্থ। তাই তাকে দেখতেই দ্রুত চলে আসা।

দুটি দিন মায়ের সঙ্গে থাকতে চাই। রোববার আমি আদালতে যাব। আমার নামে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট আছে। এমনও হতে পারে, আমাকে জেলে যেতে হতে পারে। আপনারা বিচলিত হবেন না।

আমি আইনিভাবে সব কিছুর মোকাবেলা করব।এর আগে গত বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাংবাদিক নেতা এম আবদুল্লাহ লেখেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ও অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান দেশে ফিরছেন। শুক্রবার সকাল ৯টায় একটি ফ্লাইটে তিনি তুরস্ক থেকে দেশে ফিরবেন।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী সরকারের সময় মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সারা দেশে ১২৪টি মামলা করা হয়েছিল। ২০১০ সালের জুনে প্রথমে দফায় আমার দেশ বন্ধ ও সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে আটক করা হয়।

দ্বিতীয় দফায় ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল আবারও দ্বিতীয় দফায় আমার দেশ বন্ধ করে মাহমুদুর রহমানকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর দিনের পর দিন রিমান্ডে নিয়ে চালানো হয় নির্যাতন। পরবর্তীতে সাজানো এক মামলায় মাহমুদুর রহমান এবং তার স্ত্রীকে ৭ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে যান। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তবর্তী সরকার গঠন করা হয়।

Advertisements