বিশ্বের ‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত’ দেশের তালিকায় এবার বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম । বিশ্বের ১৮০টি দেশ ও অঞ্চলের ২০২১ সালের পরিস্থিতি বিবেচনায় বার্লিনভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) মঙ্গলবার(২৫ জানুয়ারি) দুর্নীতির এই ধারণা সূচক (সিপিআই)-২০২১ প্রকাশ করে মঙ্গলবার। এরই অংশ হিসেবে এ দিন বাংলাশের দুর্নীতির ধারণা সূচক প্রকাশ করে টিআইয়ের অঙ্গ সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অংশের তথ্য প্রকাশ করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
সূচকে স্কেলের শূন্য স্কোরকে দুর্নীতির ব্যাপকতার ধারণায় সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত ও ১০০ স্কোর হিসেবে দুর্নীতির ব্যাপকতার ধারণার মাপকাঠিতে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত বা সর্বোচ্চ সুশাসন প্রতিষ্ঠিত দেশ বলে ধারণা করা হয়।
২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত টানা ৫ বছর বাংলাদেশ, বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনাল (টিআই)-এর প্রতিবেদনে তালিকাভুক্ত হয়েছিল। পরে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নত হতে থাকে।
বাংলাদেশের এই অগ্রগতিকে দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রে হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছে টান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এ প্রসঙ্গে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের স্কোর বাড়েনি, কমেওনি। গত দশ বছরের হিসাবে একই পর্যায়ে আছে। টিআই এবারের সূচকে দুর্নীতি, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র বিবেচনায় এনেছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, অবাধ দুর্নীতি, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা না থাকা, সরকারের দুর্নীতি বিরোধী শূন্য সহিষ্ণুতার ঘোষণা বাস্তবায়ন না করা, সরকার পরিচালনার সঙ্গে জড়িতদের একটি অংশের দুর্নীতিতে জড়িয়ে যাওয়া, দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে জড়িত না করার ব্যর্থতা- এসব কারণে এ দেশে দুর্নীতি বেড়েছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, আফগানিস্তান ১৬ স্কোর নিয়ে বৈশ্বিক তালিকার ওপরের দিক থেকে ১৭৪তম অবস্থানে আছে। যেখানে ২৬ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৭তম।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৩১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নিচের দিক থেকে তৃতীয়। আফগানিস্তান ও উত্তর কোরিয়া যৌথভাবে প্রথম এবং কম্বোডিয়া দ্বিতীয়।