ওবায়দুল কাদের
Advertisements

বিএনপিকে সবচেয়ে ব্যর্থ বিরোধী দল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতাদের চরম ব্যর্থতায় কর্মীরা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছে। কত ঈদ গেল, পরীক্ষা গেল, বর্ষা গেল কিন্তু বিএনপির আন্দোলনের মরা গাঙে জোয়ার আসে না। তাদের আন্দোলন মুখেমুখে, প্রেস ব্রিফিংয়ে আর ফেসবুক স্ট্যাটাসে সীমাবদ্ধ। এদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যর্থ বিরোধী দল বিএনপি। সরকার নয় ব্যর্থতার দায় নিয়ে বিএনপির নেতাদের টপ-টু-বটম পদত্যাগ করা উচিত। বৃহস্পতিবার দুপুরে সরকারি বাসভবন থেকে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এসব (ধর্ষণ-নারী নির্যাতন) ঘটনাকে অন্যদিকে ঘুরানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত। যখনই কোনো ইস্যু পায়, তা খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরে সরকার বিরোধী আন্দোলনের অপপ্রয়াস চালায় । তিনি বলেন, বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশে হত্যা, সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে অভয়ারণ্য তৈরি করেছিল তা কি তারা ভুলে গেছে? জাতি তা জানতে চায়?

‘সরকারের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই’ বিএনপি মহাসচিবের এ বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। তারা একই ঢোল সব মৌসুমে বাজিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলন, নির্বাচনে চরম ব্যর্থ বিএনপি এখন পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা। তাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য আন্দোলন তো দূরের কথা একটু চাপও তৈরি করতে পারেনি। রাজপথে একটা মিছিল পর্যন্ত করতে পারেনি।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি দেশে-বিদেশে যেখানেই সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র করুক না কেন, এ বিষয়ে সরকার সজাগ। বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল, নারী নির্যাতন বিশ্ব বিবেককে হতবাক করে দিয়েছিল। ফাহিমা, মাহিমা, পূর্ণিমাসহ হাজারো নারী ধর্ষণের স্বীকার হয়েছিল, কেউই বিচার পায়নি। বিচারের বাণী তখন নিভৃতে কেঁদেছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সংখ্যালঘু নির্যাতন ৭১’এর পাক হানাদারদের নির্যাতনকেও হার মানিয়েছিল।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আজ বড় বড় কথা বলে, চট্টগ্রামে নিজ দলের নেতা জামাল উদ্দিনকে প্রথমে অপহরণ ও পরে হত্যা করে নিজ দলের লোকেরা, সেই হত্যার বিচার পর্যন্ত তারা করেনি। তাই কিছু বলার আগে নিজের চেহারা আয়নায় দেখুন।

অপরাধী ও খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া, পুনর্বাসন করা, সন্ত্রাস আর ষড়যন্ত্র বিএনপির রাজনৈতিক সংস্কৃতি দাবী করে তিনি বলেন, বেগম জিয়া অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে ৯৮ জন মানুষকে হত্যার বিচার বন্ধে সংসদে ইনডেমনিটি বিল এনে বিচার বন্ধ করেছিলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নোয়াখালীর ঘটনাসহ প্রতিটি ঘটনায় অভিযুক্তদের তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। এসব ঘৃণ্য অপরাধীদের কোনো দলীয় পরিচয় থাকতে পারে না, দলীয় পরিচয় তাদের রক্ষার ঢাল হতে পারে না। তিনি বলেন, আন্দোলনের আগেই সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে, এসব অপরাধ ও ঘৃণ্য অপকর্মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের অবস্থান সব সময়ই স্পষ্ট এবং কঠোর।

Advertisements