প্রধান উপদেষ্টা
Advertisements

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের সম্ভাবনার খবরে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে গিয়ে তিনি এই সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাৎ শেষে নাহিদ ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন নিয়ে আলোচনা করতেই তিনি এ সাক্ষাৎ করেন।

তিনি বলেন, “আজ সকাল থেকে স্যারের পদত্যাগ নিয়ে কথা শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতেই আমি তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম।”

নাহিদ ইসলাম জানান, প্রধান উপদেষ্টা চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থায় তার কার্যক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ইউনূস বলেছেন, “যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে নিয়ে এসেছিলে—একটি গণঅভ্যুত্থানের পর—দেশে পরিবর্তন ও সংস্কারের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু এখনকার আন্দোলন এবং আমাকে যেভাবে জিম্মি করার চেষ্টা চলছে, তাতে আমি কাজ করতে পারছি না।”

প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগ না করার অনুরোধ জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, “দেশের ভবিষ্যৎ, জাতীয় নিরাপত্তা এবং গণআন্দোলনের আকাঙ্ক্ষা সামনে রেখে আমরা চাই তিনি দৃঢ় অবস্থানে থাকুন। রাজনৈতিক দলগুলো যেন একটি ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে পৌঁছায়, সেদিকে তার নেতৃত্ব জরুরি।”

তবে প্রধান উপদেষ্টা তাকে জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, “উনি বলেছেন, যদি তিনি কাজ করতে না পারেন, তাহলে থাকার কী মানে?”

তিনি আরও বলেন, “উনার মতে, যদি রাজনৈতিক দলগুলো তার প্রতি আস্থা না রাখে বা আশ্বাস না দেয়, তাহলে পদে থাকার যৌক্তিকতা থাকে না।”

এর আগে বৃহস্পতিবার, অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানো নিয়ে চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এসব দাবি উঠে আসে। এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি এই তিনজন উপদেষ্টার অপসারণ দাবি করে।

অন্যদিকে, বিএনপির এ দাবির প্রতিক্রিয়ায় এনসিপির এক শীর্ষ নেতা হুঁশিয়ারি দেন, সরকার সংস্কারের সুপারিশ বাস্তবায়ন না হলে তিনজন উপদেষ্টাকে ‘বিএনপির মুখপাত্র’ আখ্যা দিয়ে তাদের পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। ওই তিন উপদেষ্টা হলেন—আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।

এছাড়া, বৃহস্পতিবার একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম অতীতে দেওয়া বিভাজনমূলক বক্তব্য ও শব্দচয়নের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন।

Advertisements