ভিপি নূরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
Advertisements

গণ অধিকার পরিষদ নিসন্দেহে গণ মানুষের দল হিসেবে মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে। তরুণ্য নির্ভর দলটিকে ঘিরে মানুষের আগ্রহ তুঙ্গে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি হিসেবে আমি নিজেকে তাদের শুভাকাঙ্ক্ষী মনে করি।

তবে প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী,
১. গণতন্ত্র মঞ্চে যোগদান এবং হুটহাট বের হয়ে যাওয়া ২. রেজা কিবরিয়াকে আহবায়ক হিসেবে মনোনীত করা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বালাই না রেখে হুটহাট অব্যাহতি দেয়া, এই দুটো সিদ্ধান্ত গণ অধিকারকে ব্যাকফুটে নিয়ে গেছে।

দলের আহবায়ক ও সদস্য সচিব পারষ্পরিক গুরুতর অভিযোগ করা একটা অশনিসংকেত, অপরিণামদর্শী রাজনীতি এবং এটি কাঁচা রাজনৈতিক সংগঠনের বার্তা বহন করে।

প্রায় অরাজনৈতিক লোক রেজা কিবরিয়াকে লুফে নিয়ে আহবায়ক করে যেভাবে বাহাবা দেয়া হয়েছে এবং এখন যেভাবে গালাগাল করা হচ্ছে তা বালকসুলভ। একেবারে অপরিপক্ক রাজনীতি।

আসিফ নজরুল সাহেব একটি পোস্ট করেছেন একতরফা কথাবার্তা লিখে৷ জনতুষ্টিমূলক হিসেবে লেখাগুলো বেশ সুন্দর। লেখাতে তরুণ সংগঠকদের জন্য উৎসাহের কারন আছে। যেখানে তরুণ সংগঠকদের অদক্ষতার কথা উঠে আসে নি৷ নিজেদের দলের আহবায়ক চুজ করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা বাহাবা পাবার কিছু নয় বরং এটি অনভিজ্ঞ, প্রিমেচিউর সাংগঠনের গুন বর্ণনা করে।

আমার মনে হয়েছে নবীন এ সংগঠনটির নেতারা আলোচনা এবং সমালোচনা যথেষ্ট সহ্য করার মানসিকতা রাখেন না। একেবারে অস্থিরচিত্ত হয়ে জাতির কাছে বিচার দিয়ে রাতারাতি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

এর আগে সদস্য সচিব, একজন যুগ্ন আহবায়ককে বহিষ্কার করেন, যুগ্ন আহবায়ক পালটা সদস্য সচিবকে বহিষ্কার করেন। পরে যদিও লোক হাসিয়ে মিটমাট হয়েছে। যুব অধিকার নিয়েও একই রক। ঘটনা ঘটেছে।

গণ অধিকার সংগঠনের চেয়ে এর আহবায়ক বা সদস্য সচিব বা অন্যকোন নেতা যতো দিন বড় থাকবে ততোদিন দল হিসেবে গণ অধিকার শক্তিশালী হবে না।

ক্ষতি যেটা হয়েছে, এখন কোন প্রতিষ্ঠিত, পেশাদার, উচ্চশিক্ষিত, বিশিষ্ট লোকজন তরুণদের নেতৃত্বে অধীনে রাজনীতি করার উৎসাব পাবে না সম্মান হারানোর ভয়ে।

গণ অধিকার পরিষদের ভাঙ্গনে বেনিফিশিয়ারি ক্ষমতাসীন দল এবং তাদের আন্তজার্তিক পৃষ্ঠপোষকরা। এই দুর্যোগ কতটুকু মোকাবেলা করতে পারবেন তরুণ সংগঠকরা এটিই দেখার বিষয়।

Advertisements