দিনের বেলা বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে
Advertisements

বিদ্যুৎ পরিস্থিতির দুরবস্থায় শংকা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

রোববার সকালে ঢাকায় একটি অভিজাত হোটেলে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত শিল্পে জ্বালানি সংকট সমাধান শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ শংকার কথা প্রকাশ করেন।

তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, রিজার্ভের যে অবস্থা, তাতে সামনে কী হবে- বলা যায় না। এলএনজি এখন আনা হচ্ছে না, এমন অবস্থায় সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে আরো সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বলেন, প্রয়োজনে দিনের বেলা বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধই করে দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ কবে শেষ হবে তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কিছু ধারণা পাওয়া গেলে নতুন কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া যেত। তিনি জানান, ভোলায় কিছু গ্যাস আছে, সেগুলো সিএনজিতে করে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে ৮০ এমএমসি গ্যাস আছে। আগামী দু-তিন মাসে সেটা নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে বলে জানান জনাব চৌধুরী।

অপরদিকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকেও সরকার এগুচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে এক হাজার মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ পাবো আমরা। আরও এক হাজার মেগাওয়াট সোলার প্যানেলের মাধ্যমে উৎপাদন করা হবে। তখন বিদ্যুতের সমস্যা অনেকটাই সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তৌফিক ই এলাহী চৌধুরী বলেন, যদি গ্যাস বাঁচাতে চাই তাহলে লোডশেডিং বাড়বে, তখন আপনারাই সমালোচনা করবেন। অথচ একসময় সব জায়গায় বিদ্যুৎ ছিল না। আমরা চাইলে এসি বন্ধ রাখতে পারি। বিদ্যুৎ ব্যবহার কমাতে পারি। সারাদেশে যে পরিমাণ এসি চলে, তাতেই ৫ থেকে ৬ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা আছে। আমরা এসি বন্ধ রাখবো বা কম চালাবো। এতে দু-তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। গ্যাস সাশ্রয় হবে। সবাই মিলে যদি রাজি হই লোড কমাবো তাহলে কিছু গ্যাস রিলিজ হবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা কৃষি ও ইন্ডাস্ট্রিতে বিদ্যুৎ বেশি দেওয়ার চেষ্টা করবো। প্রয়োজনে অন্যরা বিদ্যুৎ ব্যবহার কম করবো। প্রয়োজনে দিনেরবেলা ব্যবহারই করবো না। বিদ্যুৎ যদি আমরা শিল্পে দেই, তাহলে আবাসিকে সাপ্লাই কমাতে হবে।

Advertisements