আফগানিস্তানের দুর্গম পাঞ্জশির উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ লাভের জন্য এগিয়ে যাচ্ছে তালেবান বাহিনী। তারা ইতোমধ্যেই তিনটি জেলা দখল করার কথা ঘোষণা করেছে। দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনা ভেঙে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে তালেবান বাহিনী এখন সেখানে অভিযান শুরু করেছে।
জেলা তিনটি হলো- বানো, দেহ সালেহ, পুল-ই-হেসার স্থানীয় মিলিশিয়া বাহিনীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় তালেবান।
গত ১৫ অগাস্ট কাবুল দখল করার পর এই প্রথম তালেবানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল স্থানীয় মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলি। কিন্তু তাদের প্রতিরোধ ভেঙে তালেবান এলাকাগুলি দখল করে নেয়। অবশ্য নতুন এক অডিও বার্তায় তালেবানের শীর্ষ আলোচক আমির খান মোত্তাকি ‘এখনো বিদ্রোহ করতে থাকা লোকজনকে’ বোঝাতে বা তাদের ছেড়ে চলে আসার জন্য পাঞ্জশিরের অধিবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
তিনি বলেন, বিদ্রোহীরা কিছুই করতে পারবে না। ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সহায়তায়ই তারা কিছু করতে পারেনি। তারা এখনো করতে পারবে না। তিনি আবারো সবার প্রতি সাধারণ ক্ষমার কথা ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, পাঞ্জশির সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কিছু সময় আলোচনা চলছিল। কিন্তু কোনো সমঝোতা হয়নি।
তালেবানের বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট অনুযাযী, তারা চার দিক থেকে পাঞ্জশিরকে ঘিরে ফেলেছে। তারা প্রদেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শুতুল জেলা দখল করেছে।
এদিকে তালেবানবিরোধী পক্ষের মুখপাত্র ফাহিম দস্তি বলেন, তালেবানের একটি বড় হামলা প্রতিরোধ করা হয়েছে। তালেবানের অনেক লোক হতাহত হয়েছে।
প্রয়াত মুজাহিদিন কম্যান্ডার আহমেদ শাহ মাসুদের এলাকা হলো পঞ্জশির। প্রথমে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পরে তালেবান আক্রমণ করেও পঞ্জশির দখল করতে পারেনি। এখন তার ছেলে বাবার অনুগত বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আফগান সেনার একটা অংশও তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তালেবান বাহিনী আক্রমণ করলে তা প্রতিরোধ করা হবে। বেশ কয়েক হাজার তালেবান ফৌজ এখানে এসেছে। ফলে এবার লড়াই বেশ কঠিন। তালেবান জানিয়েছে, তারা পঞ্জশিরকে ঘিরে ফেলেছে।
সূত্রঃ এপি, এএফপি, রয়টার্স