‘জেমস বন্ড’ শন কনেরি
Advertisements

যাকে দিয়ে রূপালি পর্দায় জেমস বন্ডের যাত্রা শুরু হয়েছিল ও যিনি এই স্পাই থ্রিলারের সাতটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন, সেই শন কনেরি আর নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাহামা দ্বীপে অবস্থানকালে ঘুমের মধ্যেই তিনি চিরঘুমে চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন তার ছেলে।

বিবিসি জানিয়েছে, স্কটিশ এই অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। ছেলে জ্যাসন কনেরি জানিয়েছেন, শন কনেরি ‘কিছু সময় ধরে’অসুস্থ ছিলেন।

গত ২৫ আগস্ট লকডাউনের মধ্যেই হইচই করে ৯০তম জন্মদিন উদ্যাপন করেন শন কনেরি। জন্মদিনের ঠিক আগেই প্রকাশিত হয় একটি জরিপের ফল। শ্রেষ্ঠ বন্ড কে? রেডিও টাইমস-এর পাঠকদের ভোটে শ্রেষ্ঠ বন্ড নির্বাচিত হন শন কনেরি। তার কাছে হেরেছেন রজার মুর, পিয়ার্স ব্রসনান, ড্যানিয়েল ক্রেইগের মতো বন্ডেরা।

সর্বকালের শ্রেষ্ঠ জেমস বন্ডের সেটাই হবে শেষ জন্মদিন, কে জানত! শন কনেরি ৪৪ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন। রেডিও টাইমসের প্রধান সম্পাদক বলেছিলেন, শন কনেরি আবারও প্রমাণ করলেন যে তিনিই কিংবদন্তিসম জেমস বন্ড, যার স্পর্শে সবকিছু সোনায় পরিণত হয়েছে।

অভিনয়জীবনে শন কনেরি একটি অস্কার ছাড়াও দুটি বাফটা আর তিনটি গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন। ২০০০ সালে তিনি পেয়েছেন নাইট উপাধি।

১৯৬২ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত বন্ড সিরিজের ৭টি ছবিতে অভিনয় করেছেন শন কনেরি। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে ‘দ্য আনটাচেবল’ চলচ্চিত্র তাকে এনে দেয় সেরা পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার। এ ছাড়া ‘মেরিন’, ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য লাস্ট ক্রুসেড’, ‘দ্য হান্ট ফর রেড অক্টোবর’, ‘ড্রাগনহার্ট’, ‘দ্য রক’ সিনেমাগুলো দিয়ে দর্শক হৃদয়ে তিনি স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন।

শন কনেরি ১৯৬২ সালে ‘ডক্টর নো’ সিনেমায় অভিনেয়ের মধ্য দিয়ে ‘বন্ড’ দুনিয়ায় পা রাখেন। সিরিজের প্রথম পাঁচটি ছবিতেই জেমস বন্ড হয়েছিলেন তিনি। বাকি চারটি ছবি ছিল ‘ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ’ (১৯৬৩), ‘গোল্ডফিঙ্গার’ (১৯৬৪), ‘থান্ডারবল’ (১৯৬৫) ও ‘ইউ অনলি লিভ টুয়াইস’ (১৯৬৭)।

এরপর ১৯৭১ ও ১৯৮৩ সালে ‘ডায়মন্ডস আর ফরএভার’ ও ‘নেভার সে নেভার অ্যাগেইন’ ছবিতে আবারও জেমস বন্ড হিসেবে দেখা দেন তিনি। বন্ড সিরিজের এই সাতটি ছবিই বাণিজ্যিকভাবে দারুণ সফলতা পায়।

Advertisements