মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অ্যালেন শহরের একটি বাড়ি থেকে ছয় জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত সবাই একটি বাংলাদেশি পরিবারের সদস্য।
চরম হতাশার কারণে পরিবারের দুই ভাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে নিজেরাও আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বন্দুক কেনার কিছু দিন পরই এই হত্যাকাণ্ড ঘটল। আমেরিকায় অস্ত্র ক্রয় ও বহনে নিষেধাজ্ঞা না থাকায় সেদেশে প্রতিদিনই গুলির ঘটনা ঘটে। ছয় বাংলাদেশির দেহেই গুলির চিহ্ন রয়েছে এবং বাড়ি থেকে পুলিশ বন্দুক উদ্ধার করেছে।
পুলিশ বলছে, তাদের ধারণা পরিবারের দুই ভাই প্রথমে তাদের মা,বাবা,বোন ও নানিকে হত্যা করে এবং পরে তারাও আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
তাদের লেখা একটি চিরকুট থেকে থেকে মনে করা হচ্ছে,দুই জনই হতাশায় ভুগছিলেন। তবে হতাশার কারণ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। স্থানীয় সময় গত রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে নগরীর পাইন ব্লাফ ড্রাইভ এলাকার বাড়িটিতে যায় পুলিশ। এরপরই লাশ উদ্ধার হয়।
আমেরিকায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, প্রায় ২২ বছর আগে ডিভি ভিসায় তৌহিদুল ইসলাম আমেরিকায় যান। তৌহিদুল ইসলামের জন্ম ও বেড়ে ওঠা পুরান ঢাকায়। পরিবার নিয়ে প্রথম দুই বছর নিউইয়র্কে ছিলেন। ২০ বছর আগে তারা টেক্সাসে চলে যান। এরপর থেকে সেখানেই বাস করছিলেন।
পার্সটুডে