বছরে-গড়ে-একশ-মানুষ-গণপিটুনিতে-নিহত-হন
Advertisements

গাজীপুর মশার কয়েল নিম্নমানের এ নিয়ে তর্কাতর্কির জেরে মো.হৃদয় হোসেন নামের এক তরুণকে খুন করা হয়েছে। হৃদয় ১০ ডিসেম্বর রিয়াজুল ইসলামের দোকান থেকে কয়েল কেনেন হৃদয় হোসেন। কয়েলে কাজ হয়নি বলে পরদিন তা ফিরিয়ে দিতে রিয়াজুলের দোকানে যান হৃদয়। এ নিয়েই তাদের মাঝে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে রিয়াজুলের ভাগনে রাকিব, উজ্জ্বল, আলমগীর ও তুহিন মিলে হৃদয়কে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন। পরবর্তী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হৃদয়।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর)সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ ঘটনায় মুদিদোকানি রিয়াজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সিআইডি জানায়, ১০ ডিসেম্বর রিয়াজুল ইসলামের দোকান থেকে কয়েল কেনেন হৃদয় হোসেন। কয়েলে কাজ হয়নি বলে পরদিন তা ফিরিয়ে দিতে রিয়াজুলের দোকানে যান হৃদয়। এ সময় রিয়াজুল ক্ষিপ্ত হয়ে হৃদয়কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে রিয়াজুলের ভাগনে রাকিব, উজ্জ্বল, আলমগীর ও তুহিন মিলে হৃদয়কে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন। পরবর্তী সময়ে রিয়াজুল তাঁর হাতে থাকা চাকু দিয়ে হৃদয়ের পিঠে আঘাত করেন।

হৃদয়ের চিৎকারে তাঁর বাবা মো. আনোয়ার হোসেন (৫২) এগিয়ে এলে, রিয়াজুল ছুরি দিয়ে আনোয়ার হোসেনের হাতেও আঘাত করেন বলে জানায় সিআইডি। আহত ব্যক্তিদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে রিয়াজুলসহ অন্যরা দৌড়ে পালান। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা আহত বাবা-ছেলেকে উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হৃদয়।

হৃদয়ের বাবা আনোয়ার হোসেন এ ঘটনায় রিয়াজুলসহ পাঁচজনকে আসামি করে ১২ ডিসেম্বর গাজীপুর সদর থানায় মামলা করেন। পরে ঢাকার ডেমরা থেকে গতকাল সোমবার রিয়াজুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Advertisements