বন বিভাগে দুর্নীতির অন্ত নেই। গণমাধ্যমে বরাবর-ই বনের দায়িত্বরতদের দুর্নীতির তথ্য উঠে আসলেও দুর্নীতি রোধে নেওয়া হচ্ছে না কোনও উদ্যোগ অথবা ব্যবস্থা। বরং সংবাদ প্রকাশের জেরে গণমাধ্যম কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলা দিচ্ছে নিত্যদিন। এছাড়া প্রাণনাশের হুমকি তো আছে-ই।
বুধবার [৬ জানুয়ারি] বেলা এগারো সাড়ে টায় গাজীপুর জেলার হোতাপাড়া সংলগ্ন ফু-ওয়াং টাইলস মার্কেটের পূর্ব পাশে সংরক্ষিত বনভূমি দখলের তথ্য পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সংবাদকর্মীরা।
ওই সময় ভূমিদস্যু লোকমানের নেতৃত্বে দখলকারীরা মাটি ভরাটের কাজ চলাকালীন সময়ে আনন্দ টেলিভিশন, যুগান্তর, যায়যায়দিন, আমার সময়, যোগফল, বাংলাদেশ টুডে, স্বাধীন সংবাদ, মুক্ত বলাকা ও বাংলা ভূমি পত্রিকার সংবাদকর্মীদের দেখে তাদের উপর মারাত্মকভাবে ক্ষিপ্ত হয়।
ওই সময় লোকমান তার বাহীনি দিয়ে প্রকাশ্যে বনের জমি দখল করে নিলেও বন বিভাগের দায়িত্বরতরা ছিলো নিরব দর্শক! লোকমান ও তার সহযোগিরা সাংবাদিকদের শাসিয়ে বলেন, ‘যদি কোথাও কোনও সংবাদ প্রকাশ করা হয় তাহলে প্রাণে মেরে ফেলবো’। ওই সময় প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকিসহ মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকিও দেয় তারা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মনিপুর মৌজার এসএ ২৬৪, আরএস ১০০, ১৭১৩ ও খতিয়ান ৫৭৯ দাগের বনের জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালায় তারা।
বন বিভাগের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অবৈধ সুবিধা দিয়ে, স্থানীয় দালাল ও কতিপয় নামধারী সাংবাদিকদের সহায়তায় বিগত দিনেও দখল বানিজ্য করে আসছিলো এই ভূমিদস্যু লোকমান গয়রহরা।
এসব দখল বানিজ্য সরকারী বিট কর্মকর্তার ঈশারায় হয় বলে অনুসন্ধানে জানা যায়। কিছু সাংবাদিকরা এসব অবৈধ দখল প্রসঙ্গে সংবাদ প্রকাশ করলে তাদের নামে মামলা দিলেও দখলবাজদের নামে কোনও মামলা দিচ্ছে না
বন বিভাগ। বরাবরই সাধারণ নিরীহ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে দায়মুক্ত হওয়ার চেষ্টা চালায় বন বিভাগ।
দখল হওয়া বনের জমির বিষয়ে অবগত করা হলে মনিপুর বিট কর্মকর্তা আউয়াল জানান, ‘ডিমারকেশন করে কাজ করছে’। সীমানা পিলারের (এফডি) বাহিরে যে সব জমি দখল করছে সেগুলো কি ডিমারকেশন করা লাগে কি-না ? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।
এ ব্যাপারে ঢাকা বন বিভাগের অধীন রাজেন্দ্রপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুল হক জানিয়েছেন, বিষয়টি উপর মহল থেকে আমাকে জানানো হয়েছে, আমি ঘটনাস্থলে যাবো। পরবর্তীতে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/ মো. মোজাহিদ