রাজু আহমেদ (৩১) প্রেম করে ১৪ বছর আগে জরিফুলকে বিয়ে করেছিল। বিয়ের ১৪ বছর পর স্ত্রী জরিফুলকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে রাজুকে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পাঁচদিন আগে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে থেকে তার স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত রাজুকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর আদালতে হাজির করা হয়। সে সময় তিনি স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তীমূলক জাবানবন্দি দেন।
গ্রেফতারকৃত রাজু আহমেদ জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের মো. আবু বকরের ছেলে।
গাজীপুর পিবিআইর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে পিবিআই তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করে আত্মীয়দের খবর দেয়। পরে এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. সুজা মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
তিনি বলেন, রাজু আহমেদ সফিপুর পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় লিবার্টি গার্মেন্টসে ডায়িংয়ের কিউসি হিসেবে চাকরি করেন এবং তার স্ত্রীর জরিফুল (৩৫) মৌচাক নিটে চাকরি করেন। ২০০৭ সালে তারা প্রেম করে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে আট বছরের একটি কন্যাসন্তান আছে। পাশের রুমের এক ভাড়াটিয়ার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে রাজুর স্ত্রী। বিষয়টি টের পেয়ে চলতি মাসের ১ তারিখ ওই বাসা ছেড়ে দেন তিনি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে রাজুর সঙ্গে তার স্ত্রীর বেতনের টাকা নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় তিনি রাজুর বাবা-মাকে নিয়ে গালিগালাজ করেন। আসামি স্ত্রীর ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন। পরদিন দুপুরে খাবারের বিরতিতে জরিফুলকে কৌশলে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে নিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য পকেটে থাকা ব্লেড দিয়ে ডান হাতের কব্জির নিচে কেটে দেন।