গত আগস্ট মাসে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন হামলায় সাত শিশুসহ ১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিল। এই মারাত্মক হত্যাকান্ডকে পেন্টাগন যুদ্ধ আইনের লঙ্গন মনে করছে না ।
বুধবার( ৩ নভেম্বর) পেন্টাগনে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে মার্কিন বিমান বাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল সামি সাইদ এ কথা বলেন। তিনি বলেন,সেসময়ের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি, যোগাযোগ বিচ্ছেদ ও ভুল তথ্য এই মারাত্মক আক্রমণে অবদান রেখেছে।
তিনি আরো বলেন, এটি যুদ্ধের আইন লঙ্ঘন বা অবহেলার ফল নয়।
মার্কিন সামরিক বাহিনী প্রাথমিকভাবে দাবি করেছিল যে, কাবুল ড্রোন হামলায় আইএসআইএস-কে যোদ্ধা হত্যা নিহত হয়েছে। যারা বিমানবন্দরে মার্কিন সৈন্যদের আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
তবে নিহতদের আত্মীয়রা জানিয়েছেন, আহমাদি ও নেজরাবি পরিবারের ১০ জন সদস্য নিহত হয়েছেন, যাদের বয়স দুই থেকে ৪০ বছর। হামলার পর আইমাল আহমাদি আল জাজিরাকে বলেন, ‘তারা নির্দোষ, অসহায় শিশু ছিল।’
আক্রান্ত গাড়িটি আইমালের ভাই জেমারি আহমাদি চালাচ্ছিলেন। তিনিও এই হামলায় নিহত হয়েছিল। জেমারি মার্কিন ভিত্তিক সহায়তা সংস্থা নিউট্রিশন অ্যান্ড এডুকেশন ইন্টারন্যাশনালের (এনইআই) হয়ে কাজ করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন পরে বেসামরিক নাগরিক নিহতের কথা স্বীকার করেছেন। মার্কিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ক্ষমাও চেয়েছেন। কিন্তু পবিবারের সদস্যরা বলেছেন ক্ষমা চাওয়াটা যথেষ্ট নয়।
মার্কিন প্রশাসন গত মাসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছিল। কিন্তু বুধবার পেন্টাগন ক্ষরিপূরণ দিতে আস্বীকার করেছে।