গাজীপুর কাপাসিয়ার টোকে বহুল আলোচিত ইদ্রিস হত্যার দেড় বছরের মাথায় ভাড়াটে খুনি মেজবাহউদ্দিনকে গ্রেফতার করলে খুনের রহস্য উদঘাটিত হয়। উপজেলার টোক বাইপাস এলাকায় অত্যন্ত মূল্যবান সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাগিনা সৈয়দ জহির আহসান জাহিদকে ফাঁসাতে ভাড়াটে খুনি দিয়ে ইদ্রিসকে খুন করে মামা রবিন ভূঁইয়া।
পিবিআই গাজীপুর ভাড়াটে খুনি মো. মেজবাহ উদ্দিনকে টোক ফেরিঘাট ব্রিজের ওপর থেকে গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ গোপন তথ্য বেরিয়ে আসে। মেজবাহউদ্দিন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার টাঙ্গাব এলাকার মো. আফতাব উদ্দিনের ছেলে।
পিবিআই সূত্রে জানা যায়, সৈয়দ জহির আহসান জাহিদের সঙ্গে তার নানার বাড়ির সম্পত্তির ওয়ারিশ নিয়ে তার মামা রবিন ভূঁইয়ার সঙ্গে চরম বিরোধ দেখা দেয়। এ সময় স্থানীয় ইদ্রিস ও রফিক জাহিদের পক্ষ নিয়ে মামাবাড়ির সম্পত্তি দখলে তাকে সহযোগিতা করে। পরে জাহিদের সঙ্গে ইদ্রিসের দ্বন্দ্ব হলে ইদ্রিস রবিন ভূঁইয়ার সঙ্গে যোগ দেয়।
ঘটনার তিন দিন আগে টোক বাইপাস এলাকায় জাহিদ তার লাইসেন্সকৃত পিস্তল দিয়ে ইদ্রিসকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এই সুযোগে রবিন ভূঁইয়া তার সহযোগীদের নিয়ে ইদ্রিসকে হত্যা করে জাহিদকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করে। পরে মেজবাহউদ্দিন ও ঘটনায় জড়িত আসামিরা রবিন ভূঁইয়ার নিকট থেকে ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে ইদ্রিসকে হত্যার চুক্তি করে।
পরিকল্পনা মোতাবেক মেজবাহউদ্দিন ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট রাত ২টার সময় কৌশলে ইদ্রিসকে রবিন ভূঁইয়ার বাড়িতে নিয়ে আসে। পূর্ব থেকে এ স্থানে অবস্থানরত খুনিরা ছুরি দিয়ে গলায় আঘাত করে ও এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে ইদ্রিসকে হত্যা করে। ইদ্রিসের মা মোর্শেদা বাদী হয়ে জাহিদসহ দশজনের নামে মামলা করেন। এর প্রায় চার মাস পর মামলাটি পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
২০২১ সালের ২৫ আগস্ট অপর খুনি দুখু মিয়া ওরফে সুমনকে গ্রেফতার করলে সে-ও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে রবিন ভূঁইয়ার সঙ্গে ১২ লাখ টাকায় খুনের চুক্তির বিষয়টিও উল্লেখ করে। সে বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে।